বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়নি, জমি সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে এবং পুরনো দেওয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। এমনটাই জানাচ্ছে স্থানীয় পুলিশ। অন্যদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ফের হামলার খবরে উত্তাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যম। অভিযোগ, দোলের রাতে ঢাকায় মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই খবরে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে দুই দেশের আম জনতার মধ্যে।
সামাজিক মাধ্যমে ছবি-ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাতে, ঢাকা শহরের ওয়ারির ২২২ লালমোহন সাহা স্ট্রিটে ইসকন রাধাকান্ত মন্দিরে হামলা চালায় অন্তত শতাধিক জনতা। মন্দিরের জমি দখল নিয়েই সংঘর্ষ বলে অনুমান করা হয়েছিল। মন্দিরে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি ভক্তদের উপরও হামলা হয়েছে বলে খবর। এবং এই সংঘর্ষে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, স্থানীয় পুলিশ এবং বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম বলছে, এই ঘটনা কোনও সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার ঘটনা নয়। জমি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে এমনটা ঘটেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্দিরের জমি নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহলের সঙ্গে বিরোধ থেকে এই হামলা হয়েছে। এদিকে স্থানীয় পুলিশ বলছে, হামলার অভিযোগ সঠিক নয়। জমির মালিকানা দাবিদার একটি পক্ষ সেখানে সংস্কার করার সময় পুরোনো দেয়াল ভেঙে পড়েছে।
মন্দিরের পুরোহিত অমানি কৃষ্ণ দাশ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর শ’দুয়েক লোক এসে মন্দিরের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে এবং মন্দিরের পুরোহিতের দু’জন সদস্য প্রতিরোধ করতে গেলে হামলাকারীরা তাদেরও আক্রমণ করে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সীমানা প্রাচীর ভাঙার পর হামলাকারীরা মন্দির চত্বরে ঢুকে সেখানে থাকা একটি মূর্তি এবং নির্মাণ কাজের কিছু লোহার রড নিয়ে যায়।
জমির মালিকানা দাবিদার সেই ব্যক্তির লোকজন হামলা করে মন্দিরের সীমানা প্রাচীর ভেঙে জায়গা দখল করার চেষ্টা করেছিল। মন্দিরটির পুরোহিত অমানি কৃষ্ণ দাশও জমি নিয়ে বিরোধের ব্যাপারে একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু মন্দিরের ভেতরে কোন হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে স্থানীয় পুলিশ।