দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় নতুন মোড়। ‘জঙ্গি কারখানা’র অভিযোগের পাশাপাশি উঠল অবৈধ জমি দখলের প্রসঙ্গ, তদন্তে নেমেছে NIA।
দিল্লির রেড ফোর্টের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তভার ইতিমধ্যেই জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)-র হাতে গিয়েছে। বিস্ফোরণে জঙ্গি যোগসূত্রের অভিযোগের পাশাপাশি এবার উঠে এসেছে অবৈধ জমি দখলের প্রসঙ্গও।
ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে সরকারি ও গ্রামীণ রাস্তা দখল করে নির্মাণকাজ চালিয়েছে। জমি পরিমাপের সময় এই অনিয়ম ধরা পড়ে।
এছাড়া, দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত একাধিক চিকিৎসকের নামও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। ইউএপিএ ধারায় মামলা তদন্ত করছে NIA। পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত কারচুপির অভিযোগে আলাদা এফআইআর দায়ের হয়েছে, যার তদন্ত করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযোগে আর্থিক অনিয়মের কথাও উঠে এসেছে।
গ্রামবাসীদের দাবি, ১৯৯০-এর দশক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গায়ের জোরে জমি দখল করে আসছে। কৃষকদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, ফলে তারা নিজস্ব জমিতে যেতে সমস্যায় পড়েন। শুরুতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটি পরে আশপাশের জমি কিনে একাধিক ভবন নির্মাণ করে।
বিস্ফোরণ মামলার পাশাপাশি জমি দখল ও আর্থিক কারচুপির অভিযোগে তদন্ত শুরু হওয়ায় আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

