কাঠমান্ডু: নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন কুলমান ঘিসিং। বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে তাঁর অসাধারণ ভূমিকার জন্য পরিচিত এই প্রযুক্তিবিদ এখন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে অন্যতম সম্ভাব্য মুখ।
প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের পর, দেশজুড়ে জেন-জেড নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের জেরে অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি জোরালো হয়েছে। প্রথমে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নাম প্রস্তাব করা হলেও, সংবিধানগত বাধা ও বয়সজনিত কারণে তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
এরপর আন্দোলনকারীদের একাংশ কুলমান ঘিসিংয়ের নাম সামনে আনেন। ২০১৬ সালে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি ১৮ ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের যুগের অবসান ঘটান। তাঁর নেতৃত্বে বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসে, যা তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছে ‘আলোকদাতা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
ঘিসিংয়ের প্রযুক্তিগত দক্ষতা, দুর্নীতিমুক্ত ভাবমূর্তি এবং রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আদর্শ প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছে। যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় তাঁর নাম গুরুত্ব পাচ্ছে।
নেপালের তরুণ প্রজন্ম এখন এমন একজন নেতার খোঁজে, যিনি রাজনৈতিক জটিলতা নয়, বাস্তব সমস্যার সমাধানে দক্ষ। কুলমান ঘিসিং সেই প্রত্যাশার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
- নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হিসেবে উঠে এসেছেন কুলমান ঘিসিং। জেন-জেড আন্দোলনের জেরে তাঁর প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও দুর্নীতিমুক্ত ভাবমূর্তি নতুন আশার আলো।