কাঠমান্ডু: নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। সামাজিক মাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তরুণদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন এক পূর্ণাঙ্গ গণবিক্ষোভে রূপ নিয়েছে। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীরা সরকারি ভবনে আগুন লাগায়, জেল ভেঙে বন্দিদের মুক্ত করেছে এবং রাস্তায় নেমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে।
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। সীমান্ত বন্ধ, বিমানবন্দর স্থগিত এবং নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আইন ভাঙলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে পুলিশের গুলিতে বহু আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন।
- পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন আন্দোলনকারী নিহত।
- বিভিন্ন জেল থেকে প্রায় ১৬০০ বন্দি পালিয়েছে।
- সুপ্রিম কোর্ট, পার্লামেন্ট ভবন, এবং মন্ত্রীদের বাসভবনে আগুন লাগানো হয়েছে।
- সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে কাঠমান্ডু বিমানবন্দর ও সরকারি ভবন।
- দেশজুড়ে কার্ফু জারি, সীমান্ত বন্ধ, শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু।
সেনাবাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়েছে—লুটপাট, ভাঙচুর, ব্যক্তিগত আক্রমণ বা ধর্ষণের মতো অপরাধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগডেল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের ঐতিহ্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলও আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের চেষ্টা করছেন।