শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর থেকে এখনও ১২টি আফটারশক নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে।
ফের আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানল মায়ানমারে। শুক্রবারের শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং পরবর্তী আফটারশকে বহুতল ধসে এখনও পর্যন্ত ১,০০০ জনেরও বেশি লোক নিহত এবং প্রচুর মানুষ আহত হয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ কেন্দ্র (USGS) অনুসারে, গতকালের ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.৭। যার গভীরতা ছিল ১০ কিমি মাটির নিচে। শনিবার আবারও স্থানীয় সময় দুপুর ২:৫০ মিনিটে নেপিদোর কাছে ৫.১ মাত্রার সর্বশেষ ভূমিকম্পটি আঘাত হানল। এটির উৎসও ১০ কিমি গভীরেই।
শুক্রবার সাগাইংয়ের কাছে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার মাধ্যমে এই বিপর্যয় শুরু হয়, যার ফলে কমপক্ষে ১২টি আফটারশক আঘাত হানে। এগুলির তীব্রতা ছিল ২.৮ থেকে ৭.৫ পর্যন্ত, যা বিভিন্ন অঞ্চলে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে। সিনহুয়া সংবাদ সংস্থার মতে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে মান্দালয়, বাগো, ম্যাগওয়ে, উত্তর-পূর্ব শান রাজ্য, সাগাইং এবং নেপিদও।
ইতিমধ্যেই, মায়ানমার সরকার জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। হতাহতদের উদ্ধার করতে ত্রাণ দলগুলি কার্যত ছুটে বেড়াচ্ছে। দেশের যাতায়াতের মূল রাস্তাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে সড়ক পথে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। নেপিদো এবং মান্দালয়ের কাছে ইয়াঙ্গুন-মান্দালয় মহাসড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর জন্য মানুষকে একটি পুরনো রুটের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। মান্দালয় বিমানবন্দরের কিছু অংশও ভেঙে পড়েছে, যার ফলে দেশের বৃহত্তম শহরগুলির মধ্যে চলাচল আরও সীমিত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং যোগাযোগ ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে।