বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী তথা এক্স-কর্তা এলন মাস্ক ভারতের নেট মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছেন। এলনের পোস্ট-মন্তব্যে বেশ বিব্রত দেশের সরকার এবং বিজেপির নেতারা। কেন? কি এমন করলেন মাস্ক!
রবিবার এলন মাস্ক একটি টুইট বার্তায় বেশ স্পষ্টভাবে বলেন, যেকোনো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) হ্যাক করা সম্ভব। মানুষ বা আধুনিক বুদ্ধিমত্তা তা অনায়াসেই করতে পারে। এলন মাস্কের এমন মন্তব্যকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন বার্তা প্রসঙ্গেই বিজেপি নেতা তথা ভারতের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এমন । বিজেপি নেতা জানান, মাস্কের এহেন উদ্বেগ সেইসব দেশের জন্য হওয়া উচিৎ, যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ সহ স্ট্যান্ডার্ড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভোটিং মেশিন তৈরি করা হয়। ভারতের জন্য মাস্কের মন্তব্য প্রযোজ্য হবে না। কারণ কেন্দ্রের সরকার এবং ভারতের নির্বাচন কমিশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এদেশের ইভিএম মেশিন কখনই হ্যাক করা সম্ভব নয়।
প্রাক্তন নেতা আরও বলেন, ‘ভারতের EVM মেশিনগুলি কাস্টম ডিজাইন, সুরক্ষিত এবং যে কোনও নেটওয়ার্ক বা মিডিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা থাকে। এখানে কোনওরকম ব্লুটুথ বা ওয়াইফাই, ইন্টারনেটের ব্যাপার নেই। অর্থাৎ, বাইরে থেকে অনাবশ্যক নির্দেশ এটিতে প্রবেশ করানোর কোনও উপায় নেই।
তিনি মাস্কের উদ্দেশ্যে জানান, ‘ভারতের মতো করে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন তৈরি করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে শেখানোর দরকার হলে আমরা খুশি খুশি শিখিয়ে দেব।’ এদিকে মাস্ক চন্দ্রশেখরের এমন মন্তব্যের পরও নিজের মন্তব্য থেকে অনড়। এলনের পাল্টা দাবি, “যেকোনও মেশিনই হ্যাক হয়ে যেতে পারে’।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, আমেরিকার নির্বাচন খুব সামনেই। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়েই সেখানকার এক নেতা হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই মাস্ক এক্স-এ সেই বার্তা লিখেছিলেন। সেখানেই ভারতের বিজেপি নেতা মাস্কের সঙ্গে তর্কে জড়ান।