ইন্দোরে বিয়ে, তারপর হানিমুনে মেঘালয় — সোনম ও রাজা রঘুবংশীর দাম্পত্য জীবন শুরু হয়েছিল স্বপ্নের মতো। অন্তত রাজার জন্য। কিন্তু বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই রাজার সেই স্বপ্নের মর্মান্তিক পরিণতি। সোমবার সকালে রহস্য ভেদ করল রাজার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীই।
১৯ মে বিয়ে হয়! এরপর মেঘালয়ে বেড়াতে যান দম্পতি। ২৩ মে-তে চেরাপুঞ্জি থেকে নিখোঁজ হন তারা। ঘটনার ১০ দিন পর, ২ জুন, মেঘালয়ের একটি খাদ থেকে উদ্ধার হয় স্বামী রাজা রঘুবংশীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। পাশেই ছিল একটি ধারালো কাটারি। তবে স্ত্রী সোনমের কোনও খোঁজ ছিল না।
দেশজুড়ে শুরু হয় জল্পনা— তিনি নিখোঁজ, না কি এই খুনের পিছনে তিনিই আছেন? অবশেষে রহস্যের পর্দাফাঁস। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে খোঁজ মেলে সোনমের। এবং চমক এখানেই— স্বামী খুনের মূলচক্রী হিসেবে সোনমকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রদেশ থেকে চারজন সুপারি কিলার ভাড়া করেছিল সে। তিনজন ধরা পড়েছে, একজন এখনো পলাতক। মেঘালয়ের ডিজিপি জানাচ্ছেন, এই খুন পূর্বপরিকল্পিত। নতুন বিয়ের আড়ালে লুকিয়ে ছিল ষড়যন্ত্র, প্রতারণা আর নির্মমতা। এই ঘটনায় একটাই প্রশ্ন— এত বড় চক্রান্ত, এতটা নিষ্ঠুরতা — এর পেছনে কারণ কী? জানা গেল, প্রেমিককে ফিরে পেতেই স্বামীকে রাস্তা থেকে সরিয়েছে মহিলা। ঘটনা অবশ্য তদন্ত সাপেক্ষ। খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। যদিও মেয়ের পরিবার মানতে নারাজ।

