মালদা: স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন প্রেমিকের সঙ্গে এক বছর ধরে চুটিয়ে ‘প্রেম-ভালোবাসা’, ‘অবাধ মিলন’! মাস খানেক আগে তারা আবার গোপনে বিয়েও করে বলে দাবি প্রেমিকার। এত কিছু করেও নতুন স্বামীর ঘরে ঠাঁই পেলেন না অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে বাড়ির বউ বলে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। তাই স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন প্রেমিকা।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ এলাকার বিরুয়া-আজিমপুর গ্রামের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রেমিক ও প্রেমিকার দুজনেরই বয়স ২১। দুজনেরই বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকেই। প্রেমিকা জানান, প্রথম বিয়ে হয়েছিল মাসির ছেলের সঙ্গে। পরে যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাসির ছেলেকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করে প্রেমিক যুবক। এরপর থেকে তারা দীর্ঘ এক বছর ধরে স্বামী স্ত্রীর মতো শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্রেমিক কথা দিয়েছিল, ভালবাসার জন্য জীবন দিয়ে দিবে তবুও তাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না। তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসবে।
তারা এক মাস আগে গোপনে শরিয়ত মোতাবেক চাঁচলে বিয়েও করে ফেলেন বলে দাবি। এখন সে এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা রয়েছেন। বারবার শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইলেও তাঁকে প্রায় জোর করে বাপের বাড়িতে থাকতে বাধ্য করে প্রেমিক। অবশেষে বুধবার সকালে আরবের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন তাবাসুম।প্রেমিক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে খবর। শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে চাইলে তাবাসুমকে রাতে প্রচন্ড মারধর করে বলে অভিযোগ। ছেলের মা জানান, তাদের বিয়ে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। ছেলে কোথায় পালিয়ে গিয়েছে তিনি বলতে পারবেন না।