ভারতের ওপর একের পর এক শুল্ক চাপিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়তো ভেবেছিলেন, মোদি সরকার চাপে পড়ে মাথা নোয়াবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে ঠিক উল্টো। কৃষি থেকে রাজনীতি—সবখানেই চাপ বাড়লেও মোদি যেন আরও দৃঢ়, আরও কৌশলী। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ‘ব্রোমান্স’ ভেঙে গেলেও, মোদি এখন আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন জোটের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন।
রাশিয়ার তেল কেনা, ব্রিকসের বিকল্প কারেন্সি চালুর পরিকল্পনা, এবং ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব নিয়ে ট্রাম্পের দাবি—সব মিলিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন চরমে। মোদি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের স্বার্থে যেকোনো মূল্য দিতে তিনি প্রস্তুত। এমনকি মার্কিন কৃষিপণ্যের বাজার উন্মুক্ত করার দাবিও তিনি নাকচ করেছেন।
এই অবস্থায় চীন, রাশিয়া, ভারত—তিন দেশ এক মঞ্চে আসছে সাংহাই কো-অপারেশন বৈঠকে। ট্রাম্পের শুল্ক চাপের জবাবে পাল্টা কূটনৈতিক কৌশল শুরু হয়েছে। ব্রিকসের শক্তি বাড়ছে, আর ট্রাম্পের নোবেল স্বপ্নে যেন ছায়া পড়ছে।
শেষ পর্যন্ত, এই শুল্ক যুদ্ধের বাজিতে কে জিতবে? এখনই বলা কঠিন। তবে মোদির কৌশল, দৃঢ়তা, এবং আন্তর্জাতিক সংহতির পথে এগিয়ে চলা দেখে মনে হচ্ছে—শেষ হাসিটা তিনিই হাসবেন।