নয়াদিল্লি: ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের আবহে নতুন বিতর্ক। জার্মান সংবাদপত্র Frankfurter Allgemeine Zeitung (FAZ)-এর দাবি, সাম্প্রতিক সপ্তাহে অন্তত চারবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন ধরেননি। বার্লিনের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা থর্স্টেন বেনার এই প্রতিবেদন শেয়ার করে লিখেছেন, “মোদি ফোন প্রত্যাখ্যান করেছেন”—এটাই মোদির রাগ ও সতর্কতার ইঙ্গিত।
FAZ-এর মতে, ট্রাম্প প্রশাসন ব্রাজিল বাদে ভারতের উপর সবচেয়ে বেশি শুল্ক চাপিয়েছে। ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা এবং রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য নয়াদিল্লির উপর ‘জরিমানা’ চাপানোয় দুই দেশের সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি নড়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩১ জুলাই ট্রাম্প মন্তব্য করেন, “ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করবে, তাতে আমার মাথাব্যথা নেই। ওরা একসঙ্গে ওদের মৃত অর্থনীতিকে আরও নীচে নিয়ে যেতে পারে।” এর পাল্টা জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারত বিশ্বের সেরা তিন অর্থনীতির মধ্যে জায়গা করে নিতে চলেছে।”
এদিকে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব নিয়েও ট্রাম্পের দাবি অব্যাহত। তিনি বলেন, “সাতটি যুদ্ধ থামিয়েছি, তার মধ্যে ভারত-পাকিস্তানও আছে।” যদিও ভারত সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই পাকিস্তানের প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, “সাতটি বিমান নামানো হয়েছিল”—যদিও আগে তিনি পাঁচটির কথা বলেছিলেন।
এই টানাপোড়েনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হচ্ছে ট্রাম্প ঘোষিত ৫০% শুল্ক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদির ফোন না ধরার সিদ্ধান্ত শুধু কূটনৈতিক বার্তা নয়, তা ভবিষ্যতের সম্পর্কের গতিপথও নির্ধারণ করতে পারে।