Modi-Trump: বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠতেই ট্রাম্প বললেন, ‘মোদিই যা বলার বলবেন’

আমেরিকার সফরে মোদি। বৃহস্পতিবার দেখা করলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। ওভাল অফিসে দুই নেতার, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। বৈঠকে একে অপরকে ‘পুরনো বন্ধু’ বলে অভিহিত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় আতিথিয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ তুললেন। এবং আগামী দিনে এক সঙ্গে কাজ করার বার্তাও দিলেন সাংবাদিকদের সামনে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নানা রকমের প্রশ্ন-উত্তর চলাকালীন বাংলাদেশ প্রসঙ্গটিও উঠলো।

রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বাংলাদেশে বর্তমান ইউনুস সরকারের আমলে টানা অরাজকতার ঘটনা ঘটছে এই প্রসঙ্গে কি বলবেন? সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন শুনে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি পাশে বসে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে ইঙ্গিত করেন। বলেন যা বলার মোদিই বলবেন।

মার্টিন প্রেসিডেন্ট বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন তাই তিনি যা বলার বলবেন। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে কৌশলী ভঙ্গিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতের পক্ষ।

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলতে শুরু করেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ চলাকালীন ভারত কোনওপক্ষ নেয়নি এই কথা ভুল। ভারত পক্ষ নিয়েছে এবং সেটি ছিল শান্তির পক্ষ। দুই দেশের মধ্যে যাতে শান্তি স্থাপন করা যায় শুরু থেকেই সেই পক্ষে কথা বলেছে ভারত। বাংলাদেশ নিয়ে দুই নেতা খোলসা করে কিছু না বলতে চাইলেও দুজনেই বুঝিয়ে দিলেন শান্তির পক্ষে যা করনীয় তাই করা হবে।

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগের দিন মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের সদ্য নির্বাচিত নিযুক্ত অধিকর্তা তুলসী গ্যাবারের সঙ্গেও বৈঠক সেরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আর সেখানেও বাংলাদেশ ইস্যুতে আলোচনা হয় দুজনের। তবে সেই নিয়ে খরচা করে এখনই কিছু বলছেন না রাষ্ট্রনেতারা।

প্রসঙ্গত এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপের আগে ইলন মাস্কের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মোদি দেখা করেন মাস্কের গোটা পরিবার। সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী মোদি ইঙ্গিত দিয়েছেন ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

About The Author