শেহবাজের দিকে না তাকিয়ে এগিয়ে গেলেন মোদী-পুতিন—কূটনৈতিক বার্তা স্পষ্ট।তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত SCO সম্মেলনে এই দৃশ্য ঘিরে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক আলোচনার ঝড়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেখা গেল একসঙ্গে হাসিমুখে, খোশগল্পে মেতে থাকতে। তাঁদের পাশে ছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। অথচ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে দেখা গেল একা, গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে—কোনও সৌজন্য বিনিময় বা আলাপ হয়নি।
এই দৃশ্য শুধু কূটনৈতিক সৌজন্যের অভাব নয়, বরং ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানকেই আরও একবার দৃঢ়ভাবে তুলে ধরল। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে ভারত বরাবরই সরব। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার বলা হয়েছে—সন্ত্রাসকে মদত দেওয়া রাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক সম্ভব নয়। মোদীর এই নীরব উপেক্ষা সেই বার্তাকেই আরও জোরালো করে তুলল।
বিশ্লেষকদের মতে, SCO-র মতো বহুপাক্ষিক মঞ্চে এমন দৃশ্য কেবল ব্যক্তিগত সম্পর্ক নয়, বরং কূটনৈতিক অবস্থানের প্রতিফলন। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্তে মোদীর অবস্থান স্পষ্ট—সন্ত্রাস দমন ছাড়া কোনও আলোচনার জায়গা নেই।
চিনের মঞ্চে শেহবাজকে এড়িয়ে মোদী-পুতিনের ঘনিষ্ঠতা, পাকিস্তানের ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ার ইঙ্গিত এবং ভারতের অনড় বার্তা—সব মিলিয়ে এই সম্মেলন হয়ে উঠেছে এক কূটনৈতিক নাটকের কেন্দ্রবিন্দু।