ললিত মোদী, নীরব মোদী ও বিজয় মাল্য-র মতো ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে চায় নয়াদিল্লি।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্তে পা রাখতে ব্রিটেনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই দিনের এই সফরে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। সফরের মূল লক্ষ্য—ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) স্বাক্ষর, যা গত তিন বছর ধরে আলোচনার পর অবশেষে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় রপ্তানির ওপর ৯৯ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার এবং ব্রিটিশ পণ্যের ওপর ৯০ শতাংশ শুল্ক হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়ে ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষত ভারতীয় টেক্সটাইল, চামড়া, রত্ন ও গয়না, এবং ব্রিটিশ হুইস্কি ও গাড়ি শিল্পের জন্য এটি হবে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তবে এই সফরের গুরুত্ব শুধু অর্থনৈতিক নয়। মোদী ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের মধ্যে আলোচনা হবে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি, জলবায়ু, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়েও। দুই নেতার মধ্যে এটি হবে গত এক বছরে তৃতীয় সাক্ষাৎ, যার মধ্যে রয়েছে G20 ও G7 সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠক।
ভারতের পক্ষ থেকে খালিস্তানি চরমপন্থীদের কার্যকলাপ এবং ভারতীয় পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধীদের প্রত্যর্পণ নিয়েও আলোচনা তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ করে ললিত মোদী, নীরব মোদী ও বিজয় মাল্য-র মতো ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে চায় নয়াদিল্লি।
সফরের সময় মোদী সাক্ষাৎ করবেন রাজা চার্লস তৃতীয়-এর সঙ্গেও। পাশাপাশি, ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে MSME খাত, প্রযুক্তি বিনিয়োগ ও শিক্ষা বিনিময় নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।