Narendra Modi: ‘মন কি বাতে’ শহিদ ক্ষুদিরাম! বাংলার বীরত্ব উঠে এল মোদীর ভাষণে

‘মন কি বাত’ ভাষণে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদানকে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বাংলার বীরত্বগাঁথার নেপথ্যে কি ভোট বার্তা?

মোদীর ভাষণে উঠে এল শহিদ ক্ষুদিরাম, রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ায় তাপ বাড়ল

স্বাধীনতা সংগ্রামের অগস্টের ইতিহাসে বারবার উঠে এসেছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকের কথা। এবার সেই ঐতিহাসিক পরম্পরায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ ভাষণে উঠে এল এক নতুন নাম—শহিদ ক্ষুদিরাম বসু। বিনায়ক দামোদর সাভারকরের বদলে ভোরবেলা মুজফ্ফরপুরের জেল ঘিরে চোখে জল, মনে আগুন নিয়ে অপেক্ষা করা সাধারণ মানুষের ছবি আঁকলেন তিনি। যার কেন্দ্রে ছিলেন মাত্র ১৮ বছর বয়সি ক্ষুদিরাম, যিনি হাসিমুখে এগিয়ে গিয়েছিলেন ফাঁসির দড়ির দিকে।

মোদীর ভাষণে শুধুমাত্র ‘বাংলার গৌরব’ নয়, বরং সর্বভারতীয় স্বীকৃতি দিয়ে ক্ষুদিরামের আত্মবলিদানকে ‘দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’ হিসেবে তুলে ধরেন। ভাষণের ভেতরে ‘জয় শ্রী রাম’ নয়, ‘জয় মা কালী-জয় মা দুর্গা’ স্লোগানের পুনরাবৃত্তি ও বাংলার বীরত্বগাঁথা তুলে ধরার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা।

তৃণমূল কংগ্রেস এর মধ্যে বিজেপির ‘ভোট কৌশল’ দেখছে। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “এটা মন কি বাত নয়, হোমওয়ার্কের প্রতিফলন মাত্র।” লোকসভায় তৃণমূলের উপনেতা কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মতে, “জাতীয়তাবোধ বলতে যা বোঝায়, তা ওঁদের নেই—এ সবই লোকদেখানো।”

তবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা সওয়াল—যাঁরা বাংলার বীরদের ভুলিয়ে দিয়েছেন, তাঁরাই এখন ক্ষুদিরামের নাম শুনে অস্বস্তিতে ভুগছেন। তাঁর মতে, “মোদীর ভাষণে রাজনীতি নয়, ইতিহাসের প্রতি সম্মান প্রকাশ পেয়েছে।”

ভাষণের সময়সীমা, শব্দচয়ন ও কৌশলের মধ্যে দিয়ে মোদী কি শুধুই ইতিহাস স্মরণ করলেন, না কি বাংলার মাটিতে রাজনৈতিক বার্তা দিলেন—এই নিয়েই এখন আলোচনা তুঙ্গে।

About The Author