দেশজুড়ে মক ড্রিল! বাজবে এয়ার রেইড সাইরেন! তালিকায় উত্তরবঙ্গের একাধিক শহর

জলপাইগুড়ি-কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দেশজুড়ে হবে মক ড্রিল! বাজানো হবে এয়ার রেইড সাইরেন।


রাত পোহালেই দেশজুড়ে হবে মক ড্রিল! আচমকা ব্ল্যাক আউট হয়ে যাবে শহর। নিভে যাবে সব আলো। বাজানো হবে এয়ার রেইড সাইরেন। হামলা হলে, কিভাবে কোথায় নিতে হবে আশ্রয়? সেই নিয়ে মক ড্রিলের নির্দেশ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যে রাজ্যে। দেশের ২৫৯টি জায়গায় এই মক ড্রিল হবে। বিশেষ করে সিমান্ত ঘেঁষা এলাকায়। তালিকায় বাংলার ৩১টি জায়গা রয়েছে।

নির্দেশ এসেছে কেন্দ্রের তরফে। কী কী করতে হবে, সেটাও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। শেষ এমন মক ড্রিলের আয়োজন হয়েছিল ভারত-পাক যুদ্ধের আগে ১৯৭১-এ।

কেন্দ্রের নোটিশে বলা আছে, যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার জন্য এয়ার রেড সাইরেন বাজিয়ে পরীক্ষা করা হবে। হঠাৎ ব্ল্যাকআউট বা অন্ধকার হয়ে যাবে শহর। নিভে যাবে সব আলো। রাতের অন্ধকারে কোনও এয়ার স্ট্রাইক হলে এই কৌশল নেওয়া হয়। স্কুল, অফিস, কমিউনিটি সেন্টারে হবে ওয়ার্কশপ। হামলা হলে, কাছাকাছি আশ্রয়স্থল কীভাবে খুঁজে বের করতে হবে, তা শেখানো হবে। হামলার মুহূর্তে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করা, প্রাথমিক চিকিৎসা করাও শেখানো হবে। ৭১-এর যুদ্ধের সময় এই কৌশল নেওয়া হয়েছিল। মিলিটারি বেস, পাওয়ার প্লান্ট বা গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিংগুলি এমনভাবে ঢেকে দেওয়া হবে, যাতে স্যাটেলাইটে ধরা না পড়ে।ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শেখানো হবে, কীভাবে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালাতে হয়, কীভাবে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয় সাধারণ মানুষকে।

পাকিস্তানকে ভারত ঠিক কোন ভাষায় জবাব দেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নয়া দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠক চলছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। গত ১১ দিন ধরে একটানা সীমান্তে গুলিবর্ষন করে চলেছে পাকিস্তান। সেই আবহেই দেশের সব রাজ্যকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।দেশের সব রাজ্যে হবে ‘মক ড্রিল’। এটা যে কোনও সাধারণ বিষয় নয়, তা তো স্পষ্ট। কারণ এভাবে দেশের সব রাজ্যে মক ড্রিল করার কথা সচরাচর বলা হয় না কেন্দ্রের তরফে। ১৯৭১-এ ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে এমন মহড়া হয়েছিল রাজ্যে রাজ্যে। তারপর এই প্রথমবার এমন মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে।

About The Author