Meerut Murder Case: ছেলের মুখটাও দেখতে পেলেন না মা… প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে মেরে ১৫ টু-করো করল স্ত্রী!

মেয়েকে চোখে হারায় যে বাবা, সেই কিনা বলছে, বিচারে যেন তাঁর মেয়ের ফাঁসি হয় …

কেন? প্রেমিকের সঙ্গে প্ল্যান করে নিজের স্বামীকে মেরে টুকরো টুকরো করেছে এই মেয়ে। আর সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়। কোর্ট চত্বরে তুলতেই অভিযুক্ত প্রেমিক এবং মেয়েটিকে ঘিরে ধরেন আইনজীবীরাও। একটাই বক্তব্য, যে স্বামী নিজের স্ত্রীর জন্য এতকিছু করল সেই কিনা প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করল? পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার প্রেমিককে হাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত করছে। গ্রেপ্তার করেছে।

জানা গেল, পেশায়ে মার্চেন্ট নেভি অফিসার ছিলেন সৌরভ রাজপুত। ২০১৬ সালে এই মেয়ে অর্থাৎ মুসকান রাস্তগির সঙ্গে প্রেম করেই বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌথ ফ্যামিলিতে থাকতে সমস্যা, তাই আলাদা জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে দম্পতি। তাঁদের এক শিশু সন্তান বর্ত‌মান। তবে কাজের সুত্রে বাইরেই থাকতে হত সৌরভকে। আর সেই ফাঁকেই প্রতিবেশী সাহিল নামের এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি হয় মুসকানের। এই চলছিল।

তবে সম্প্রতি স্বামী ঘরে ফিরতেই প্রেমিকের সাহায্যে সৌরভকে মেরে শরীরের ১৫ টুকরো করল মুসকান। নেপথ্যে, পুরনো প্রেমিক মানে, সৌরভকে আর ভালো লাগে না মুস্কানের। সেই জায়গা নিয়েছিল সাহিল। তাই প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে নিজের স্বামীকে খুন করে মুসকান। শুধু তাই নয়, স্বামীর দেহ ১৫ টুকরো করা হয়। এরপর প্রমাণ লুকোতে দেহের টুকরোগুলি ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে সেই ড্রামের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পুলিশকে দেওয়ার তাদের বয়ান অনুযায়ী, গত ৪ মার্চ রাতে মুসকান সৌরভের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাঁকে অজ্ঞান করে ফেলে। এরপর সাহিল বাড়িতে এসে সৌরভকে ছুরি দিয়ে খুন করে। তারপর দুজনে মিলে দেহ ১৫ টুকরো করে ড্রামের ভেতরে ঢুকিয়ে রাখা হয়। আর সিমেন্ট দিয়ে সেই ড্রামের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এদিকে, স্বামীকে খুন করার পরই প্রেমিকের সঙ্গে পাহাড়ে ছুটি কাটাতে চলে যান মুসকান।সেখান থেকে ফিরে আসার পর নিজের মা-বাবার কাছে স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় মুসকান। এরপরই পুলিশের কাছে খুনের কথা জানিয়ে দেন মুসকানের মা-বাবা। তারপর পুলিশ মুসকান এবং সাহিল দুজনকেই গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ ড্রামটি থেকে দেহের টুকরোগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের জন্য মুসকানের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তার মা-বাবা।

About The Author