একরাশ আশা-আকাঙ্ক্ষার মাঝেই মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করল নাসার পার্সিভিয়ারেন্স। আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিট নাগাদ মঙ্গলে অবতরণ করেছে সেটি। মঙ্গলের মাটিতে ল্যান্ডার নামার পরই ওড়ানো হবে হেলিকপ্টার। এই ক্ষুদে হেলিকপ্টারটির নাম দেওয়া হয়েছে ইনজেনুইটি। এই প্রথম অন্য কোনও গ্রহে একটি উড়ন্ত রোবটিক যন্ত্র পরিচালনা করবে নাসা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্বাতি মোহন মিশনের গাইডেন্স, নেভিগেশন ও কন্ট্রোল অপারেশনসের দায়িত্বে রয়েছেন। স্বাতিকে ছাড়াও তাঁর সঙ্গে আরও তিন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মিশনের অন্যতম দায়িত্বে রয়েছেন। নাসার মঙ্গলযান ল্যান্ডারকে অবতরণ করতে সাহায্য করবে যে প্যারাসুট, সেটির কারিগরি দায়িত্বে ছিলেন বর্ধমানের সৌম্য দত্ত। এই প্রথমবার সর্বাধিক ক্যামেরাযুক্ত কোনও উপগ্রহ পাঠানো হয়েছে মহাকাশে। নাসার মঙ্গলযানে মোট ২৫টি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। নাসার নতুন মঙ্গলযান লক্ষে পৌঁছনোর মুহূর্তেও সাক্ষী রইল লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রত্যেকেই নজর রেখে ছিল নাসার অফিশিয়াল লাইভস্ট্রিম পেজে। নাসার এই সাফল্যে পুরো দেশেই উদযাপন শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহে নাসার ১০টি অভিযান পৌঁছাল। সর্বপ্রথম ১৯৭৫ সালে ভাইকিং ১ এবং ভাইকিং ২ পাঠিয়েছিল নাসা।