শিলিগুড়ি: আজ দার্জিলিংয়ের লালকোঠিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক ভূমিধস ও বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন জিটিএ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা।
গত কয়েকদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন—হাশিমারা, নাগরাকাটা, চালসা, মল, কার্শিয়াং, সুখিয়াপোখরি ও মিরিক। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের হাতে আর্থিক সাহায্য ও চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দিয়েছেন।
উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন তদারকিতে দ্বিতীয় দফার সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল তিনি পৌঁছান মিরিকের সুখিয়াপোখরি অঞ্চলে, যেখানে প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়া একটি বাড়িতে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের হাতে ত্রাণ সহায়তা ও আশ্বাস তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরিবারের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মানুষ বিপদে পড়লে পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব, দয়া নয়।”
এর আগে তিনি যান নাগরাকাটার বামনডাঙা গ্রামে, যেখানে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ত্রাণ সামগ্রী ও মৃতদের পরিবারকে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দেন।
মিরিকের বেশ কিছু পাহাড়ি গ্রাম এখনও বিপর্যস্ত। ভূমিধস ও বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত। মুখ্যমন্ত্রী সব এলাকায় যেতে না পারলেও প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ত্রাণ শিবিরে রাখার জন্য।
আজ দার্জিলিংয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা, যেখানে আগামী দিনের ত্রাণ ও পুনর্গঠন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে।