এলাকা দখলের লড়াই! ১০ দিন পর তৃণমূলকর্মীর মুণ্ডুবিহীন দেহ উদ্ধার

মালদা: ১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর মিলল মুণ্ডুবিহিন দেহ। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ভয়ঙ্কর ঘটনা। এলাকায় কে রাজত্ব করবে তাই নিয়ে দীর্ঘদিনের লড়াই। সেই ঝাঁজেই তৃণমূলের এক কর্মীকে খুন করে পুকুরধারে দেহ পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাতলামারি এলাকায়।

১০ দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন কাতলামারির তৃণমূলকর্মী আব্দুল বারিক। বুধবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি, ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে পুলিশ আব্দুল বসির-সহ পাঁচ তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। বারিককে গত ১৪ মে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বসির-সহ পাঁচ জনকে মঙ্গলবার ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তাদের জেরা করে অপহৃত ওই তৃণমূলকর্মীর সন্ধান মেলে।

তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বারিককে গলা কেটে খুন করে তাঁর বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি জলাশয়ে দেহ পুঁতে দেওয়া হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, এলাকা দখল নিয়ে বসির এবং উনসা হক গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদ চলছিল। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান তদন্তকারীদের। নিহত তৃণমূলকর্মী উনসার ভাইপো বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এক মহিলার যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছি। ওই কাণ্ডে এক মহিলার যোগসাজশও রয়েছে। তারও খোঁজও করা হচ্ছে।’

নিহতের স্ত্রী সায়েমা বিবি বলেন,স্বামীকে তো আর ফেরত পাব না। তবে অভিযুক্তদের যেন ফাঁসি হয় এটাই চাই। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি হজরত আলি অবশ্য বলেন, ‘ওরা দুপক্ষই তৃণমূল করে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। এটা ওদের দুপক্ষের পুরনো বিবাদ। আইন আইনের পথেই চলবে।’