মালদা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গেল! রায় শোনার পরই ক্লাসরুমে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিক্ষিকারা। হাইকোর্টের প্যানেল বাতিলের রায় বহাল থাকার খবর প্রকাশ্যে আসতেই জেলায় জেলায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাহাকার। একই ছবি ধরা পড়ল মালদার বার্লো বালিকা বিদ্যালয়েও।
সেখানে চার শিক্ষিকার একই সঙ্গে চাকরি গেল। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়েরই এক গ্রুপ ডি মহিলা কর্মীরও চাকরি বাতিলের তালিকায়। সুপ্রিম কোর্টের চাকরি হারানোর পর গ্রুপ ডি কর্মী ভেরোনিকা টুডু জানান, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছি ২০১৮ সালে চাকরিটা পেয়েছিলেন।
এদিন, খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তাঁর একজন ছেলে রয়েছে। বেসরকারি স্কুলে পড়ে। এখন কি করবেন। বুঝতে পারছেন না। রাষ্ট্রপতির দারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন তিনি।
গোটা রাজ্যের পাশাপাশি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকেও একাধিক স্কুলে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম রয়েছে। শিক্ষকমহল এবং স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,
- রাজগঞ্জ বন্দর গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার নাম চাকরি বাতিলের তালিকায়।
- বেলাকোবা গার্লস হাইস্কুলে ১৫ জন শিক্ষিকার মধ্যে বাতিল ৩ জন শিক্ষিকা এবং একজন গ্রুপ ডি-র কর্মী।
- গুলুকান্ত হাইস্কুলে ৫ জনের নাম বাতিলের তালিকায়।
- বেলাকোবার মুদিপাড়ার নগেন্দ্রনাথ হাইস্কুলে ২ জন
- কেবলপাড়া হাইস্কুলে ৩ জন।
- রাজগঞ্জ মহেন্দ্রনাথ হাইস্কুলে ৫ জন
- প্রধানপাড়া গমিরুদ্দিন হাইস্কুলে ৪ জনের নাম বাতিলের তালিকায়।
- সন্ন্যাসীকাটা হাইস্কুলের ৯ জন
- ফাটাপুকুর সারদামণি হাইস্কুলের এক শিক্ষিকা।
- রাজগঞ্জের কুকুরজান হাইস্কুলের এক শিক্ষক।
- কুকুরজান গার্লস হাইস্কুলের ২ জন শিক্ষিকার নাম রয়েছে বাতিলের তালিকায়
- রাজগঞ্জের হরিহর হাইস্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে কাজ পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। তাঁরও যোগ্যতা প্রমাণ হল না। চাকরি খুইয়ে দিশেহারা তিনি।