’ঘরের দেওয়ালে লেখা আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার স্ত্রী’, ঘরের ভেতরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুলছে এক যুবকের দেহ। সকাল সকাল এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার চাঁচলের রাজীব মোড় এলাকায়। ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। ঘরে ঢুকে পুলিশ দেখতে পায়, দেওয়ালে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার স্ত্রী’, আরও লেখা রয়েছে, ‘বাবা-মা ও মেয়েদের খেয়াল রেখো।’ ঘটনাকে ঘিরে রহস্যের দানা বেঁধেছে।যদিও দেওয়ালের লেখাটি ওই যুবকের কিনা, খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
ঘটনার পর মৃতের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত যুবকের স্ত্রী সপ্তমী কর্মকার অবশ্য বলছেন, স্বামী রোজ রোজ মদ খেয়ে বাড়ি ফিরতেন; সংসারের খরচও ঠিকমত দিতেন না। দাম্পত্য জীবনেও শান্তি ছিল না। মাত্রা ছাড়া হতেই তিন দিন বাপের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল, আর এর মধ্যেই ঘটে যায় এমন কাণ্ড। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে স্বামী এমনটা করবে, সেটা ভাবতে পারিনি, এভাবেই অনুযোগ করলেন স্ত্রী। তার আবেদন, দেওয়ালে যা লেখা রয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাকে ফাঁসানোর জন্য এমনটা করা হয়েছে বলে অভিমত।
পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম ছোটন কর্মকার, তিনি কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। স্ত্রী ও দুই নাবালিকা কন্যাসন্তানকে নিয়ে এলাকার রাজীব মোড়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতের ভাই গৌরাঙ্গ কর্মকার জানান, দাদা বৌদির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচারের জন্য চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতস্ত্রী সপ্তমী কর্মকারকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।