এবারের মাধ্যমিকের ফলাফলের নিরিখে রাজগঞ্জ ব্লকে সম্ভাব্য প্রথম ফাটাপুকুর প্রণবানন্দ সেন্টেনারি শিক্ষায়তনের ছাত্রী বিদিপ্তা পাল। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৬৬১। যদিও তার বাড়ি শিলিগুড়ি রবীন্দ্রনগর এলাকায়। রাজগঞ্জের বাসিন্দা হিসেবে সম্ভাব্য সেরার দাবিদার দু’জন। রাজগঞ্জ স্কুলপাড়ার রিশভ এবং তালমার ফুলতুলশী। দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৯।
রাজগঞ্জ ব্লকের তালমার ফরেয়াভিটার বাসিন্দা সুফল চন্দ্র রায়ের মেয়ে ফুলতুলসী রায় ৬৪৯ নাম্বার পেয়েছে। তাঁর প্রিয় বিষয় অঙ্কে সে পেয়েছে ৯৯। অন্যদিকে, রাজগঞ্জ স্কুলপাড়ার বাসিন্দা রিশভ অগরওয়ালও ৬৪৯ নম্বর পেয়েছে। রিশভ প্রণবানন্দ সেন্টেনারি শিক্ষায়তনের ছাত্র। আগামীতে তাঁর বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। রিশভের বাবা চাল ব্যবসায়ী। দিদি ডাক্তারি পড়ছে।
তালমার ফড়িয়াভিটার বাসিন্দা ফুলতুলসী জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বণিজেরহাট হাইস্কুলের ছাত্রী। বাবা সুফলচন্দ্র রায় কৃষি কাজ করে সংসার চালান। একমাত্র দাদা কলেজে পড়াশোনা করছে। নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা ফুলতুলসীর রেজাল্ট নজর কেড়েছে গ্রামবাসীর। শুক্রবার সন্ধ্যায় ফুলতুলসীর বাড়িতে গিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন ডিপিএসসির চেয়ারম্যান লক্ষমোহন রায়। তিনি বলেন আগামী জীবনের জন্য, ফুলতুলসীকে অনেক শুভেচ্ছা। আর্থিক অভাবকে সঙ্গী করেও যেভাবে পড়াশোনা করে চলেছে তার জন্য সাধুবাদ। আগামীতে যেকোনও রকমের সহযোগিতার জন্য পাশে থাকবেন তিনি।
শিলিগুড়ির রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা বিদিপ্তা পাল ভবিষ্যতে ডাক্তারি পড়তে চায়। পড়াশুনার পাশাপাশি গান, আঁকা এবং সাঁতারে আগ্রহ রয়েছে। বিদিপ্তার বাবা বিনয়কুমার পাল রেল দপ্তরে কাজ করেন। মা মৌ পাল গৃহবধূ। তাঁদের একমাত্র সন্তানের রেজাল্টে খুশী পরিবার।