প্রেমিকার শরীরের ৩৫ টুকরো করে ১৮ দিন ধরে ফ্রিজে রেখে জঙ্গলে ফেলল প্রেমিক

দিল্লি: প্রেমিকাকে মেরে তাঁর শরীরের ৩৫ টুকরো করল প্রেমিক যুবক। শিহরণ জাগানো ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশের রাজধানী! দেহের ৩৫ টুকরো সংরক্ষন করতে কেনা হয়েছিল ৩০০ লিটার আয়তনের একটি ফ্রিজ। সেখানে রেখে ১৮ দিন ধরে অল্প অল্প করে বিভিন্ন জায়গায় দেহাংশ ফেলে দিয়ে আসেন কষাই প্রেমিক। খুনের প্রায় ৬ মাস পর সামনে এল ভয়ঙ্কর ঘটনা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম আফতাব আমিন।

পুলিশ জানিয়েছে, দুজনের ধর্ম আলাদা হওয়ায় প্রথম থেকেই সেই সম্পর্কে আপত্তি ছিল পরিবারের। তা সত্বে‌ও তারা একে অপরকে ভালোবেসে দিল্লিতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিয়ে করা নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়। তার জেরেই প্রেমিক যুবক ওই যুবতীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর শরীরের ৩৫ টুকরো করে সেগুলি ঠাণ্ডা মাথায় জঙ্গলের আশে পাশে ছড়িয়ে দিয়েছিল যুবক। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মহিলার দেহের টুকরোগুলি সংরক্ষণ করার জন্য একটি ৩০০ লিটারের ফ্রিজ কেনেন যুবক। সূত্র বলছে, খুনের পর ১৮ দিন ধরে একটি একটি করে শরীরের টুকরোগুলি জঙ্গলের আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেয় ‘খুনি’।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম আফতাব আমিন পুনা বালা (২৮)। তার লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করেছে ওই যুবক। গত ১৮ মে দুজনের মধ্যে মন কষাকষি হওয়ার পরেই এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। রাগের মাথায় প্রেমিকাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে তারপর দেহের ৩৫ টুকরো করা হয়।

এই ঘটনার প্রায় দু মাস পর্যন্ত শ্রদ্ধার মোবাইল সুইচ অফ পেয়ে তাদের এক স্বজন আত্মীয় সন্দেহ হয়। সে তার ভাইকে ব্যাপারটি জানাতেই বাবা দিল্লিতে এসে পুলিশে খবর করেন। পুলিশ সেই মর্মে একটি অপহরণের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। FIR অনুযায়ী শ্রদ্ধার সঙ্গী আগেও মারধর করতো বলতে বলে অভিযোগ। সেই ভিত্তিতে শনিবার ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করতেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা।

জানা গিয়েছে ২৬ বছর বয়সী শ্রদ্ধা একটি বহুজাতিক সংস্থা কল সেন্টারে কাজ করতেন মুম্বাইতে ওই যুবকের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। তারপরেই সম্পর্ক এবং শেষে দিল্লিতে এসে থাকতে শুরু করেন তারা। কিন্তু তাদের সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবারের লোকেরা তাই তারা মেহেরুলি এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এরমধ্যেই বিয়ে করা দুজনের মধ্যে অশান্তি বাধে। সেই থেকেই ঘটে এমন কাণ্ড।

About The Author