সাত সকালে এলাকায় হাজির চিতাবাঘ! এ ঘর, ও ঘরে ছোটাছুটি করে অবশেষে খাচাবন্দি হল চিতা। চিতা দেখতে এলাকায় ভিড়, মোবাইল ক্যামেরায় ছবি করতে একেবারে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন সবাই। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। জারি করা ১৪৪ ধারা। বৃহস্পতিবার সাত সকালে কোচবিহারের কোতোয়ালি থানা এলাকার অমরতলায় ঘটেছে এই কাণ্ড। চিতাবাঘের খবরে এলাকায় হাজির হন বনদপ্তরের আধিকারিকেরা। ঘুমপাড়ানি গুলিতে বশে আনা হয় চিতাবাঘটিকে। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় খাঁচাবন্দি করা হয় সেটি।
বুধবার রাতেই চিতাবাঘটি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অমরতলার ওই বাড়িটিতে ঢুকে পড়ে বলে স্থানীয়দের অনুমান। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ প্রথম কোচবিহার শহরের মানুষ জানতে পারেন, অমরতলায় একটি বাড়িতে চিতাবাঘ ঢুকেছে। বাড়ির বিভিন্ন ঘর, বাথরুম এমনকী বাইরে এসেও ঘোরাঘুরি শুরু করে চিতাবাঘটি। চিতাবাঘের খবরে ততক্ষণে লোকজনের ভিড় জমতে শুরু করেছে এলাকায়। এদিকে, বনদপ্তরের কর্মীরা বাঘটিকে বাথরুমের ভেতর থেকে জালে জড়িয়ে বের করে আনেন। তবে তার আগে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। বনকর্মীরা জানান, নিয়মমাফিক চিকিৎসার পর বাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।