বাড়ির সামনে খেলতে থাকা ১২ বছরের স্কুলপড়ুয়াকে টেনে নিয়ে গেল চিতা বাঘ

জলপাইগুড়িঃ বাড়ির সামনে খেলতে থাকা ১২ বছরের স্কুলপড়ুয়াকে টেনে নিয়ে গেল চিতা বাঘ। গ্রামবাসীরা ছুটে এলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বানারহাট থানার উত্তর শালবাড়ী এলাকায় ফের চিতা বাঘের হামলা। মৃতের নাম আলামিন।

জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট থানার অন্তর্গত উত্তর শালবাড়ীতে ফের চিতা বাঘের হামলা। বানারহাট থানার অন্তর্গত গ্রামে প্রাণ গেল বছর ১২ এক কিশোরের। কলাবাড়ি হাই স্কুলের ছাত্র ছিল সে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়ির সামনে খেলছিল কিশোর। আচমকা একটি চিতা বাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ে এবং মুহূর্তের মধ্যে কিশোরটিকে টেনে নিয়ে যায়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে এলেও তাকে আর রক্ষা করা যায়নি।

এলাকায় প্রবল আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার এই অঞ্চলে বাঘের আক্রমণ ঘটেছে। প্রতিবারই সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বা গুরুতর জখম হয়েছেন। তবুও বনদপ্তর কার্যকর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়, ঘটনার ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ ঘটনা সালে পৌঁছালেও বনদপ্তরের কোনো কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছাননি বলে অভিযোগ । ফলে গ্রামবাসীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এক প্রতিবেশীর কথায়, “প্রায়ই বাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ছে। আমরা ভয়ে দিন কাটাই। আজ আলামিনকে নিয়ে গেল, কাল আর কাকে নিয়ে যাবে কে জানে। অথচ প্রশাসন এখনো পর্যন্ত নীরব।”

এলাকাজুড়ে এখন শোকের পাশাপাশি তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বনদপ্তর ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক।

About The Author