‘আমরা বলছি না, সুপ্রিম কোর্ট বলছে। লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ সব প্রক্রিয়া করে নেব। নবান্ন থেকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
কলকাতা: সরকারকে আইন মেনে চলতে হয়। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ৩১ মে’র মধ্যে নোটিফিকেশন হবে। নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তবে তাঁদের সুবিধার্থে দেওয়া হবে অভিজ্ঞতার জন্য আলাদা নম্বর। নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৩০ মে।
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আইনের বাইরে গেলে কোর্ট অন্যভাবে নিতে পারে। কারও চাকরি যাওয়ার কথা আমরা সুপ্রিম কোর্টে বলিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সবটাই রেডি রাখব। সুপ্রিম কোর্ট বললে পরীক্ষা দিতে হবে না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করার প্রক্রিয়া চলবে। রিভিউ পিটিশন পেন্ডিং আছে। কোর্টে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। নির্দেশ মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করব। পরে রিভিউয়ে ভালো রেজাল্ট পেলে সেটা করব।’
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘শীর্ষ আদালত আগের নির্দেশে বলেছে। দু’টো ভাগ রয়েছে। শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। আমাদের করার ইচ্ছা ছিল, চাকরিহারাররা সকলে চাকরি ফিরে পাক।’
মমতা বলেন, ‘যাঁরা অনলাইনে আবেদন করতে চান, পারবেন ১৬ জুন পর্যন্ত।’ মমতা বলেন, ‘আমরা বলছি না, কোর্ট বলছে। লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ সব প্রক্রিয়া করে নেব। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ২৪,২০৩ পদ শূন্য।
হাইকোর্টের নির্দেশে ওই পদের জন্য নিয়োগ হবে। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। ১১,৫১৭ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি হয়েছে নবম-দশমের জন্য। একাদশ-দ্বাদশের জন্য ৬,৯১২ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হচ্ছে। গ্রুপ-সির জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি হচ্ছে। ৫৭১টি পদ। গ্রুপ ডি’র জন্য অতিরিক্ত হাজার করা হচ্ছে। মোট শূন্যপদ ৪৪ হাজার ২০৩। নবম-দশম চাকরিহারাদের নিয়ে ২৩,২১২। একাদশ-দ্বাদশ ১২,৫১৪, গ্রুপ সি ২৯৮৯, গ্রুপ ডি ৫,৪৮৮।’