বৈষ্ণোদেবীর পথে ধসে ৩১ ভক্তের মৃত্যু, বন্যায় ভেসে গেল ঘরবাড়ি, সড়ক, সেতু

জম্মু: বৈষ্ণো দেবীর পথে ভয়াবহ ধসে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩১ জন তীর্থযাত্রী। একদিকে পাহাড় ধসে চাপা পড়েছে মানুষ, অন্যদিকে নদীর জলস্ফীতি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, সেতু, যানবাহন। জম্মু-কাশ্মীরে প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন।

মাধোপুর ব্যারাজে জলস্রোত এক লক্ষ কিউসেক ছাড়িয়ে যাওয়ায় কাঠুয়া এলাকা প্লাবিত। জম্মুর চতুর্থ তাওয়ি সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ায় বহু গাড়ি আটকে পড়ে। দেবক সেতুর স্তম্ভ ধসে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় জম্মু-পাঠানকোট জাতীয় সড়ক। রামনগর-উধমপুর ও কিশ্তওয়ারের পদ্দের রোড ধুয়ে গেছে বন্যার জলে।

ডোডা, রাজৌরি, কিশ্তওয়ারে নদীর জল ঘরবাড়ি, গবাদি পশুর আস্তাবল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। জম্মু জেলায় ৩৫০০ জনকে সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে। মুঠি, সত্বরি ও ইয়ুথ হোস্টেলে খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির ও কমিউনিটি কিচেন। মোতায়েন করা হয়েছে মেডিকেল টিম।

জম্মুর জেলা শাসক রাকেশ মিনহাস জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, জল ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারই এখন প্রধান লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ পরিস্থিতিকে “অত্যন্ত গুরুতর” বলে বর্ণনা করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দিয়েছেন সাহায্যের।

গত এক দশকে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে জম্মু শহরে—২০ ঘণ্টায় ২৫০ মিলিমিটার। কাঠুয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫.৬ মিলিমিটার, ভাদরওয়াহে ৯৯.৮, কাত্রায় ৬৮.৮। তাওয়ি নদীর জলস্তর ৩৬.১ ফুটে পৌঁছেছে—২০১৪ সালের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ২৭ আগস্ট পর্যন্ত রেইসি, রামবান, ডোডা, কাঠুয়া, উধমপুর ও রাজৌরি জেলায় আরও ভারী বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত, হড়পা বান ও ধসের আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনের তরফে জনগণকে জলাধার ও ধসপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

About The Author