‘চুরি করে চাকরি পেয়েছে!’ স্কুলে ‘দেরিতে আসায়’ প্রতিবাদ দেখেই বাইক নিয়ে পালালেন শিক্ষক

ময়নাগুড়ি: সপ্তাহের অধিকাংশ দিনেই দেরিতে স্কুলে পৌঁছান এক শিক্ষক, এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির একটি বুনিয়াদি স্কুলকে ঘিরে। এদিন ওই শিক্ষক ফের দেরিতে আসায় তাঁকে ঘিরে ধরলেন অভিভাবকদের একাংশ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাইক ছুটিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে যান শিক্ষক। অন্যদিকে পেছন থেকে বিক্ষোভকারির চেচিয়ে বলতে শুরু করেন, চুরি করে চাকরি পেয়েছে, তাই পালিয়ে যাচ্ছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

জানা গেল, ওই স্কুলে ১০৩ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে এবং শিক্ষক রয়েছেন চারজন—তিনজন স্থায়ী ও একজন অস্থায়ী। অভিযোগ, উক্ত শিক্ষক সপ্তাহে কয়েকদিনই স্কুলে উপস্থিত থাকেন, তাও বেশিরভাগ সময়ে দেরি করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র রায় জানান, বিষয়টি একাধিকবার স্কুল পরিচালন কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এমনকি শিক্ষকের বদলির জন্য জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান ও স্কুল পরিদর্শককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।

শুক্রবার দুপুর বারোটার পর ওই শিক্ষক স্কুলে প্রবেশ করেন। স্কুলে উপস্থিত অভিভাবক ও পরিচালন কমিটির সভাপতি গোবিন্দ রায় তাঁকে দেরিতে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। ঘটনায় হতবাক এলাকার বাসিন্দারা ও অভিভাবকরা।

অভিভাবক প্রতিমা দাস বিশ্বাস জানান, “আমরা প্রতিদিন স্কুলে যাই, দেখতেই পাই সাগ্নিক চক্রবর্তী নামের  ওই শিক্ষক প্রায়ই এগারোটার পর আসেন, কখনও কখনও স্কুলে আসেনই না।” একই অভিযোগ করেন সভাপতি গোবিন্দ রায়ও, যিনি জানান, আগেও বিষয়টি নিয়ে জেলা স্তরে আবেদন করা হয়েছিল।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল বাবু বলেন, “এই পরিস্থিতির কারণে আমার স্কুলের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, আমি তা মেনে নিতে পারছি না।”

এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি উত্তর মন্ডলের স্কুল পরিদর্শককে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ময়নাগুড়ি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রসেনজিৎ কুণ্ডু জানান, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

About The Author