জলপাইগুড়ি: ফাঁকা বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে পাশের বাড়ির এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল ষাটোর্ধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ফের ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য।
বেলাকোবা অঞ্চলে এবার নবম শ্রেণিতে পাঠরত এক নাবালিকা ধর্ষণের শিকার হল। ঘটনার পর মেয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে মা ছুটে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মা ও মেয়ে জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শারীরিক পরীক্ষার জন্য নাবালিকাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম জগ রায়। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কদিন আগেই বেলাকোবা অঞ্চলের দশদরগায় গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণ-খুনের হুমকির অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল শ্বশুরের। এরপর বেলাকোবা অঞ্চলে ফের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল।
একইদিনে ৩টি ধর্ষণ, ১টি শ্লীলতাহানির অভিযোগ
জলপাইগুড়ি জেলার আরও ২ জায়গায় ধর্ষণের অভিযোগ মিলেছে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে পাশের বাড়ির উঠোনে চার বছরের একটি শিশুকন্যা খেলছিল। বাড়ির মালিক শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার মা। শিশুটির মা ও ঠাকুমা মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এক্ষেত্রে অভিযুক্তের বয়স ৪৫।
অন্যদিকে, ময়নাগুড়িতে আবারও শ্লীলতাহানির ঘটনা সাম্নে এসেছে। ময়নাগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পেটকাটি এলাকার এক প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মঙ্গলা দাস। সে-ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করানো হয়। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘পুলিশ সব ঘটনার তদন্ত করছে। গত কয়েক দিনে নাবালিকাদের শ্লীলতাহানি ঘটনাগুলিতে যারা অভিযুক্ত তারা সকলেই প্রতিবেশী।’
উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার কাঁচাকালী একটি চা-বাগানে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। তাতে অনেকের সন্দেহ হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।