প্রতিবেশী নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে কু-কাজ করে তার দেহ বস্তাবন্দী করে নদীতে ফেলে দিয়েছিল যুবক। বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা মেনে বিচারে দোষীর ফাঁসির সাজা দিল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত। বুধবার রায় শুনে আদালত চত্বরে কেঁদে ফেললেন মৃত নাবালিকার বাবা-মা।
সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, “ঘটনার দিন ধূপগুড়িতে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ সেখানে গিয়েছিলেন। নাবালিকার বাবা-কাকাও সেখানেই ছিলেন। মেয়েটি দুপুরে তার বান্ধবীদের সঙ্গে খেলছিল। তারপর একটি জলের বোতল হাতে নিয়ে ওই প্রতিবেশী যুবকের বাড়িতে যায়। তার বান্ধবী এবং সেখানে উপস্থিত এক মহিলা তা দেখেছিলেন। এরপর আর নাবালিকাকে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়নি। পরে নাবালিকার বাবা-কাকা বাড়ি ফিরে এসে তার খোঁজ করে। চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু, পাওয়া যায়নি।
বিকেলে ওই যুবককে সাইকেলে একটি বস্তা নিয়ে যেতে দেখা যায়। নাবালিকার মা ও অন্যরা তাকে এই নিয়ে জিজ্ঞসা করলে সে জানায়, স্ত্রী, সন্তান শ্বশুরবাড়িতে রয়েছে। তাদের পোশাক নিয়ে যাচ্ছে। ডুডুয়া নদীতে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের পর অনেকেই বস্তাটি দেখে চিনতে পারেন। এলাকার একটি বাড়ির সিসিটিভিতেও ওই যুবককে ডুডুয়া নদীর দিকে যেতে দেখা যায়। ওই যুবকের বাকি থেকে নাবালিকার হাতে থাকা জলের বোতলও উদ্ধার হযেছে। বিচারক এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলেছেন।”

