Jalpaiguri: এবারও বেশি পদ্ম ফোটাল শিখা’র বিধানসভা, হিসেব মিলছে না গৌতমের

শিলিগুড়ি: ২৪-র লোকসভা নির্বাচনে বাংলাজুড়ে সবুজ ঝড় বইলেও জলপাইগুড়ি লোকসভা আসন ধরে রাখলেন বিজেপির জয়ন্ত রায়। জলপাইগুড়ির সাতটি বিধানসভার মধ্যে এবারও সবথেকে বেশি পদ্ম ফুটল ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভাতেই। ১৯-র নির্বাচনের মত এবারও সেখানে সেকেন্ড বয়’ই হয়ে রইল তৃণমূল।

রাজগঞ্জ এবং শিলিগুড়ি ঘেঁষা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৪টি ওয়ার্ড এবং ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় সবটাতেই লিড পেয়েছে বিজেপি। এবারের নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায়ের প্রাপ্ত ভোট ৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৬৮। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৩টি ভোট। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৮৩ হাজার ৭৭৮টি ভোট। সিপিএম ভোট পেয়েছে ১১ হাজার ৪৮৬টি। অর্থাৎ ৭২ হাজার ২৪৫ ভোটে বিজেপি এগিয়ে রইল ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে।

২০১৯-র নির্বাচনেও বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায়ের জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছিল এই বিধানসভা। ২০১৯-এ ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ভোটের মধ্যে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা থেকে লিড পেয়েছিলেন ৮৬ হাজার ১৭৭ ভোটে।

ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই চিন্তা বেড়েছে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের। কারণ তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের হাতেই এবারের নির্বা‌চনের দায়িত্ব ছিল। ওই বিধানসভায় তৃণমূল এবারে ভালো ফল করবে বলে আশা করেছিলেন তিনি। তবে এবারও আগের ছবিটা বদলাল না। প্রায় সবক’টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে রইল বিজেপি। কীভাবে এমন ফলাফল সম্ভব, তার হিসাব মেলাতে পারছেন না মেয়র গৌতম দেব। তাঁর কথায়, হারের কারণ খতিয়ে দেখছি আমরা। কেন মানুষ আমাদের থেকে মুখ ঘোরালেন তা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। পাশের বিধানসভা রাজগঞ্জে অবশ্য আগেরবারের মত এবারও তৃণমূলই লিড দিয়েছে।

গতবারের মত এবারও লিড ধরে রাখতে পারলেও শতভাগ সন্তুষ্ট হতে পারছে না বিজেপিও। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের আগে বেশ কিছু জায়গায় সন্ত্রাস তৈরি করেছিল শাসক শিবির। ভোটের দিন বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে বাঁধা দিতে জায়গায় জায়গায় পথে নেমেছিল পুলিশ। এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছিল বলেই মনে করে গেরুয়া শিবির। ভোটের ফল বেরিয়ে যাওয়ার পর এখনও বেশ কিছু এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর রাজনৈতিক হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।

প্রসঙ্গত, ভোটের আগে এই বিধানসভাতেই বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল সাংসদ জয়ন্ত রায় এবং বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে। সেই ঘটনার পেছনে মূলত তৃণমূলের উস্কানিকেই দায়ী করেছিলেন দু’জন। বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় সেই ব্যাপারে শিলিগুড়ির শাসক নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, শিলিগুড়ি এবং ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির মানুষ বিজেপির পক্ষেই রায় দেবে। শেষ অবধি তাই হয়েছে, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এবারও সব থেকে বেশিই পদ্ম ফুটিয়েছে।