কলকাতা: যাদবপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড! এসএফআইয়ের ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু। গাড়িতে হাওয়াই চটি ফেলে সেখানে লেখা হল, চোর চোর! এক ছাত্রকে ব্রাত্যের গাড়ি ধাক্কা দেয় বলেও অভিযোগ। উত্তেজনা দুই তরফেই।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তৃণমূলপন্থী অধ্য়াপক সংগঠনের বৈঠক চলাকালীন কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গাড়ি নিয়ে ক্য়াম্পাস ছাড়ার চেষ্টা করেন শিক্ষামন্ত্রী। তখন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা মন্ত্রীর গাড়ি আটকে দেন। তাঁর গাড়ির উপর তুমুল ঘুষি মারতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
এমনকী গাড়ির বনেটের উপর এক ছাত্র উঠে পড়েন। গাড়ির সামনে লুকিং গ্লাস ভাঙার চেষ্টা করা হয়। গাড়ির সামনের কাঁচের একাংশে চিড় ধরে যায়। একজন একটি হাওয়াই চটি গাড়ির বনেটের উপর রেখে দেয়। তবে ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের এই ভূমিকাকে ঘিরেও প্রশ্ন ওঠে।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাসের মধ্যেই WBCUPA ও এসএফআইয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এমনকী ব্রাত্য বসু আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি হতেই আন্দোলনকারীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে চলে বিক্ষোভ।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই তরফেই রাস্তায় নেমেছেন নেতানেত্রীরা। চলছে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা। পড়ুয়াদের বিক্ষোভ থেকে রেহাই পাননি অধ্যাপকেরাও। এক সময় প্রতিবাদী পড়ুয়াদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় ওয়েবকুপার সদস্যদের।
যাদবপুরের অধ্যাপক তথা ওয়েবকুপার সদস্য ওমপ্রকাশ মিশ্রকে লাঠি হাতে তাড়া করেন বাম এবং অতি বাম সংগঠনের কয়েক জন পড়ুয়া। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ধস্তাধস্তির মধ্যে এক পড়ুয়ার মাথা ফেটেছে।
আহত হয়েছেন দুই অধ্যাপক। এক মহিলা অধ্যাপকের শাড়ি ছেঁড়ার অভিযোগও উঠেছে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।