মাত্র ১৮ বছর বয়সেই আইপিএস-এর ইউনিফর্ম পেল এই কিশোর। ভাবুন দেখি, এর জন্য কতই না পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে! ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। রীতিমত হাসির বন্যা বইছে।
পুলিশ কিশোরকে স্যার সম্বোধন করে থানায় ডেকে প্রকাশ্যে আনল পুরো ঘটনা। সে এক কাণ্ড বটে। ওই কিশোর পুলিশের ইউনিফর্ম পরে এবং একটি নকল পিস্তল সঙ্গে নিয়ে বিহারের জামুইতে ঘোরাফেরা করছিল। পুলিশের নজরে এই ছবি ধরা পড়তেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা গেল, ছেলেটি আইপিএস-এর জন্য মনোজ সিং নামের এক ব্যক্তিকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি আইপিএস ইউনিফর্ম কিনেছিল। আর সেই থেকেই নিজেকে পুলিশ অফিসার ভেবে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছিল।
আপাতত কিশোরকে ভুয়া পুলিশ ধার্য করে তদন্ত শুরু করেছে বিহার পুলিশ। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। এই নিয়ে ব্যাপক হাসাহাসিও শুরু হয়েছে।
জামুই জেলার সিকান্দরা থানা এলাকায় এক ভুয়ো আইপিএস অফিসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবক ট্রেইনি আইপিএসের ইউনিফর্মে বাইকে করে বাজারে ঘোরাফেরা করছিল। যুবকের নাম মিথিলেশ কুমার, যিনি লক্ষীসরাই জেলার হালসি এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তারের পরে, পুলিশ যখন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন জানা যায়, মনোজ সিং নামের এক ব্যক্তি তাকে মাত্র ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুলিশের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
যুবকটি জানিয়েছে যে খয়রার মনোজ নামে এক ব্যক্তি তাকে স্কুল ক্যাম্পাসে ইউনিফর্ম পরিয়ে দিয়ে একটি খেলনা পিস্তল দেয় এবং তাকে বলা হয়, ডিউটি কোথায় করতে হবে সেই ব্যাপারে পড়ে তাকে ফোন করা হবে। এরপর পুলিশের ইউনিফর্ম পরা আইপিএস ব্যাচের যুবক মিথিলেশ মাঝি বাইকে করে সিকান্দরা চকে পৌঁছায়। পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এক যুবককে বাইকে করে ঘুরে বেড়াতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি নিজেকে আইপিএস অফিসার বলে ঘোষণা করেন। এরপর, তাকে হেফাজতে নিয়ে সিকান্দ্রা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে জানা যায় যে যুবক লক্ষীসরাই জেলার হালসি থানা এলাকার গোবর্ধনবিঘা গ্রামের বাসিন্দা। সবে মাত্র মাধ্যমিক পাশ করেছে সে।
পুলিশের ইউনিফর্মে ভুয়ো আইপিএস অফিসার হিসাবে জাহির করা যুবক জানিয়েছেন যে কয়েকদিন আগে তিনি খয়রা থানা এলাকার পাচভুর জলপ্রপাতে স্নান করতে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি মনোজ সিং নামে এক ব্যক্তির সাথে দেখা করেছিলেন। মনোজ তাকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর পুলিশে চাকরির জন্য ২.৩ লাখ টাকা দাবি করেন। গ্রেফতারকৃত যুবক মিথিলেশ মাঝি জানান, চাকরির জন্য মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিলেন তিনি। এরপর মামার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে দুই লাখ টাকা দেন। টাকা নিয়ে তিনি খয়রায় পৌঁছেছিলেন যেখানে বৃহস্পতিবার তিনি মনোজ সিংকে টাকা দেন। তাকে পুলিশের ইউনিফর্ম পরিয়ে পাঠানো হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল যে গিয়ে ডিউটি সংক্রান্ত ফোন করতে। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।