বাংলাদেশে কদিন আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে। সেই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত সরকার। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই সংক্রান্ত একটি প্রসঙ্গ উঠতে বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিসর সঙ্কুচিত হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, দ্রুত বাংলাদেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ আবহেই গত শনিবার মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছিল। তাঁদের তরফে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগের কার্যকলাপ।
শনিবার রাতে বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আ. লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে পরিষদের লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনান। বলেন, দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা্র্থে, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা প্রদান করতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ৩ দিন ধরে বাংলাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ছাত্র জনতা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায়। এর পরেই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়।

