হায়দরাবাদ: গ্রেটার নয়ডায় পণের জন্য গৃহবধূকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় যখন দেশজুড়ে ক্ষোভের আগুন, ঠিক তখনই তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে আরও একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এল।
অভিযোগ, হায়দরাবাদের বালাজি হিলস এলাকায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী স্বাতীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তাঁর স্বামী মহেন্দর রেড্ডি। এরপর মৃতদেহ টুকরো করে ছোট ছোট প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে তিনবার মুসী নদীতে গিয়ে দেহাংশ ফেলে দেন তিনি।
খুনের পর মহেন্দর নিজের বোনকে ফোন করে জানান, স্ত্রী নিখোঁজ। সন্দেহ হলে বোন এক আত্মীয়কে খবর দেন, যিনি মহেন্দরকে থানায় নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে মহেন্দর ভেঙে পড়ে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মুসী নদীতে মৃতের মাথা, হাত ও পা ফেলে দেওয়া হয়েছে। মহেন্দরের বাড়ি থেকে স্বাতীর মাথাহীন, পা-হীন দেহ উদ্ধার হয়েছে। নদীতে দেহের বাকি অংশের খোঁজ চলছে।
স্বাতীর বাবা জানিয়েছেন, জামাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না। মেয়ের উপর নিয়মিত অত্যাচার চলত। তাঁর মন্তব্য, “আমার মেয়ে যেমন কষ্ট পেয়েছে মারা গিয়েছে, তেমনই কষ্ট পাওয়া উচিত খুনির।”