বেলডাঙায় প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের শিলান্যাসে হুমায়ুন কবীরের হুঁশিয়ারি, ‘শহিদ হলেও ইট খসাতে দেব না’, এলাকায় উত্তেজনা ও নজিরবিহীন নিরাপত্তা।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের শিলান্যাস ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ও উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। বিশাল মঞ্চ, ধর্মীয় নেতাদের উপস্থিতি এবং দূরদূরান্ত থেকে আগত মানুষের ঢল, সব মিলিয়ে বেলডাঙা কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
শিলান্যাসের পর মঞ্চে দাঁড়িয়ে হুমায়ুন কবীর তীব্র বার্তা দেন, “শহিদ হয়ে গেলেও একটা ইট খসাতে দেব না।” তাঁর দাবি, এই মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে নানা বাধা, চাপ ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু মানুষের সমর্থন সেই সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। তিনি আরও জানান, শুধু মসজিদ নয়; একই প্রাঙ্গণে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অতিথিশালাও গড়ে তোলা হবে, যা সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
অনুষ্ঠানস্থলে ছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা। পুলিশ, RAF ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বড় বাহিনী মোতায়েন করা হয় যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায়। শিলান্যাসের সময় ধর্মীয় স্লোগানও শোনা যায়, যা পরিবেশকে আরও আবেগঘন করে তোলে।
রাজনৈতিক মহলে এই শিলান্যাস নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তীব্র হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস কবীরকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সাসপেন্ড করেছে, আর বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে যে এই উদ্যোগ ধর্মীয় মেরুকরণ বাড়াতে পারে। তবে কবীরের বক্তব্য, এটি সম্পূর্ণ সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ, এবং কোনও শক্তিই তাঁকে থামাতে পারবে না।

