বিয়ের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। স্বামী সহ শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ মেয়ের পরিবারের। সেই ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। রাজগঞ্জের ফাটাপুকুরের ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য।
স্থানীয়রা বলছেন, ফাঁকা বাড়িতে ঘটে এই কাণ্ড। জানা গেল, গত বছর এপ্রিল মাসে ফাটাপুকুরের বাসিন্দা শুভঙ্কর কুড়ির সঙ্গে নিউ জলপাইগুড়ির মেয়ে পিংকি দাসের বিয়ে হয়।
পিংকির বাপের বাড়ির অভিযোগ, রুপশ্রী প্রকল্পের টাকা জামাইকে না দেওয়ায় মেয়েকে ব্যাপক মারধর করেছে। মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকের দাবি মতো পণ না দেওয়ায় পিংকিকে তারা মেরে ফেলেছে বলে তাদের অভিযোগ। এদিকে, রাতের ঘটনার পর থেকেই পিঙ্কির শ্বশুর শাশুড়ি ঘরছাড়া।
সেই নিয়ে পিঙ্কির বাবার অভিযোগ, যদি মেয়েকে তাঁরা না মেরে থাকে তাহলে শ্বশুর বাড়ির লোক পলাতক কেন? গোটা ঘটনা জানিয়ে জামাইসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন পিংকির বাবা অটল দাস।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শুভঙ্করের বাড়িতে যাওয়া হলেও পরিবারের সদস্যরা না থাকায় তাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে রাজগঞ্জ থানার আইসি অনুপম মজুমদার বলেন, মৃত গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।