হিমাচল প্রদেশে সরকার গড়ার পথে কংগ্রেস। বিজেপির জাতীয় সভাপতি নাড্ডার রাজ্যেই হোঁচট খেল বিজেপি। হিমাচলের ৬৮ আসনের মধ্যে ৪০টি হাতের দখলে এসেছে। ওই রাজ্যের বিধানসভায় ম্যাজিক নম্বর ৩৫। দিনের শুরুতে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও শেষ অবধি মুখ উজ্জ্বল হল কংগ্রেসের। হিমাচল প্রদেশে সব ঠিক থাকলে সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাত, দুই রাজ্যের বিধান সভা ভোটের ফল বেরল। দিনের শুরু থেকে হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গেল। এরপর দিনের শেষে কংগ্রেসের বহুমত প্রমাণ হল। শেষ প্রাপ্ত আপডেট অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশের ৬৮টি আসনে ৪০টি কংগ্রেসের দখলে এবং ২৫টি বিজেপির দখলে। অন্যান্য ৩। এদিকে খাতা খুলতেই পারেনি আম আদমি পার্টি।
ভোটে বেশিরভাগ সিট দখল করলেও কংগ্রেসকে সরকার গড়তে হলে তাদের বিধায়কদের সুরক্ষিত রাখতে হবে, কারণ ঘোড়া কেনাবেচার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্যে বিজেপির মুখ পোড়ায় গুজরাতে বিজয়ের পরও কিছুটা উদ্বিগ্ন গেরুয়া শিবির।
হিমাচল প্রদেশে পাশাপাশি এদিন গুজরাতের বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হল। মোদীর রাজ্যে গুজরাতে রেকর্ড জয় বিজেপির। বিগত ২৭ বছর ধরে বিজেপি সরকারে রয়েছে গুজরাতে। এই নির্বাচনে জয়ের ফলে গুজরাটে ৩২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করেছে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার কমিশনের ফলাফল অনুযায়ী গুজরাতে ১৮২ আসনের মধ্যে ১৫৬ আসন নিজেদের দখলে নিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে মাত্র ২৭টি আসনে ক্ষমতা ধরে রেখে গুজরাতে দ্বিতীয় কংগ্রেস। আম আদমি পার্টি খাতা খুলেছে মোদীর রাজ্যে। কেজরিওয়ালের দল পেয়েছে ৫টি আসন। অন্যান্য ৪টি। এবারের নির্বাচনে বিজেপি-র প্রাপ্ত ভোট ৫৫ শতাংশ। কংগ্রেসের ভোট কমে গিয়ে হল ২৭ শতাংশ। আপ পেয়েছে ১৩.৩ শতাংশ ভোট।
বিকেলের দিকে বিজেপির জয় নিশ্চিত হতেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কথা বলেন গুজরাতের বিজেপি প্রধান সিআর পাতিলের সঙ্গেও। দু’জনকেই এই জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদী।
গুজরাটের জয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে লেখেন, ‘ধন্যবাদ গুজরাত। আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। জনগণ উন্নয়নের রাজনীতিকে আশীর্বাদ করেছে। এই উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে চায় আম জনতা। আমি গুজরাতের জনশক্তিকে প্রণাম জানাই।’
২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি আবারও ফিরল। আসছে ৫ বছর ক্ষমতায় থাকলেই ৩২ বছরের রাজত্ব নিশ্চিত করবে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, ভারতে একটানা ৩৪ বছর সরকার চালানোর রেকর্ড রয়েছে বামেদের, তাও আবার পশ্চিমবঙ্গে। ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও যদি বিজেপি জেতে তাহলে বাংলার রেকর্ড ভেঙে দিতে পারবে গুজরাত।