‘Hasina government established Jahelia in Ayam’, Muhammad Yunus comments on ‘atrocities’ at Ayanaghar, secret prisons of former Bangladesh Govt.
আয়নাঘরে ঘুরে দেখলেন মহম্মদ ইউনূস। সঙ্গে একাধিক উপদেষ্টা, আয়নাঘরে অতীতে বন্দি থাকা ব্যক্তি ও সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে ঢাকার বন্দিশালাগুলি ঘুরে দেখেন তিনি।
আয়নাঘরে গিয়ে তিনি ছোট্ট কুঠুরিগুলি ঘুরে দেখেন, যেখানে হাসিনা বিরোধীদের বন্দি করে রাখা হত বলে অভিযোগ। কীভাবে বন্দিদের উপরে অত্যাচার হত, তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা শোনেন ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আয়নাঘরের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়োও সামনে এসেছে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, জেলের মতো ছোট ছোট কুঠুরি, যেখানে একটা জানালাও নেই। ঘরের মাঝখানে শুধু রাখা একটি চেয়ার, যেখানে বসিয়ে বন্দিদের উপরে নির্যাতন করা হত। বন্দিরা দেওয়ালে তাদের কষ্টের কথা, অপেক্ষার দিন গোনার কথা লিখে গিয়েছিলেন, তার প্রমাণও আছে।
আয়নাঘর পরিদর্শনের পর ইউনূস বেরিয়ে এসে বলেন, ‘বিনা দোষে, বিনা কারণে তুলে আনা হত। সন্ত্রাসী, জঙ্গি বলে এখানে ঢুকিয়ে রাখা হত। এই রকম টর্চার সেল দেশজুড়ে আছে। মোট সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছে। এটা তার প্রমাণ।’ হাসিনার অত্যাচারের নমুনা তুলে ধরে ইউনূস বলেন, ‘নৃশংস কর্মকাণ্ড হয়েছে এখানে। যতই শুনি, অবাক লাগে। এটা কি আমাদেরই জগৎ? যাঁরা নিগৃহীত হয়েছেন, তাঁরাও আমাদের সমাজেই আছেন। তাঁদের মুখ থেকে শুনলাম। কী হয়েছে, কোনো ব্যাখ্যা নেই।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের অগস্ট মাসে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত ও দেশ ছাড়তে বাধ্য করার পরই অন্তবর্তী সরকার আয়নাঘর নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তদন্ত কমিশন পুলিশ, গোয়েন্দাসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে কমিশনে ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগ জানায়। ওই রিপোর্টে এখনও ২০৪ জন নিখোজ রয়েছে বলে দাবি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আয়নাঘরের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়োও সামনে এসেছে।