নয়াদিল্লি: নয়া জিএসটি ব্যবস্থায় সিগারেটের দাম বাড়ছে, অথচ বিড়ির দাম কমছে—এই বৈপরীত্যই এখন আলোচনার কেন্দ্রে।
সিগারেট, তামাকজাত দ্রব্য, জর্দা ইত্যাদির উপর ৪০% ‘সিন গুডস’ কর বসানো হয়েছে। সরকারের যুক্তি, এই ধরনের পণ্য স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, তাই কর বাড়িয়ে মানুষকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
অথচ বিড়ির ক্ষেত্রে কর কমানো হয়েছে—২৮% থেকে ১৮%। এমনকি বিড়ি তৈরির জন্য ব্যবহৃত টেন্ডু পাতার উপরও কর কমে ৫% হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক হিসাব। বিড়ি শিল্পে যুক্ত প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ, যাঁদের অনেকেই নিম্নবিত্ত ও গ্রামীণ অঞ্চলের বাসিন্দা।
বাংলার মুর্শিদাবাদ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে এই শিল্পের বিস্তার রয়েছে। ফলে বিড়ির দাম কমলে সেই মানুষদের আয় বাড়বে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্যের উপর জিএসটি কমানোর নীতির আওতায় টেন্ডু পাতাও পড়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, বিড়িও তো তামাকজাত দ্রব্য—তাহলে সেটি ‘সিন গুডস’ তালিকা থেকে বাদ গেল কেন? সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকলেও, রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতাই হয়তো এই সিদ্ধান্তের পিছনে কাজ করেছে।
GST পরিবর্তনের তালিকা
৪০% কর বসানো হয়েছে যেসব পণ্যে:
- সিগারেট
- তামাক
- তামাকজাত দ্রব্য
- জর্দা
- অ্যালকোহল
- কোল্ড ড্রিংক
- মিষ্টিযুক্ত খাবার
- কফি সমৃদ্ধ ড্রিংকস
১৮% থেকে ৫% করা হয়েছে:
- টেন্ডু পাতা (বিড়ি তৈরির জন্য ব্যবহৃত)
২৮% থেকে ১৮% করা হয়েছে:
- বিড়ি
কমানো হয়েছে আরও কিছু সাধারণ পণ্যের জিএসটি:
- তেল
- সাবান
- টেলিভিশন
- এয়ার কন্ডিশনার (এসি)
এই পরিবর্তনগুলি সাধারণ মানুষের খরচে কিছুটা স্বস্তি আনতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তাও বহন করছে।