পাকা বাড়ি তৈরির জন্য চলছিল মাটি খোঁড়ার কাজ। সেসময় মাটির নিচ থেকে পাওয়া গিয়েছে সোনা। এমনই খবরে চাঞ্চল্য রাজগঞ্জের রামনাবান্দা এলাকায়। বাড়ির মালিক মিঠু রায় জানান, সোনা বা রুপা যাই হোক, তা দেখার আগেই কর্মরত শ্রমিকেরা সেগুলি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এনিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।
মিঠু রায় জানান, পাকি বাড়ির জন্য ভিটে মাটিতে কিছুদিন আগেই কাজের জন্য কাজের মিস্ত্রি লাগিয়েছেন। নতুন বাড়ির ঘর করার জন্য মাটি খুঁড়তেই গুপ্তধন পেয়ে সেগুলো নিয়ে পালিয়ে গেছে শ্রমিকরা। এমনই অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তবে নতুন বাড়ির মালিক মিঠু রায় জানান আমি বাড়িতে থাকিনা, আমি পরিবার নিয়ে দার্জিলিংয়ে ব্যবসার কাজে সেখানেই থাকি তবে কালকে হটাৎ বাড়ি থেকে আমার ফোন আসতে আমি বাড়ি এসেছি। এই গুপ্তধন কতটা সত্য ও কতটা মিথ্যে তা আমি নিজের চোখে দেখিনি। তবে কিছু পৌরাণিক জিনিসের মতো কিছু পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীর কিছু অংশ। তবে যা কিছুই পাওয়া যাক তা যেন সরকারের ঘরে যায় বলে তিনি জানান।
রাজগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা নির্মলা রায় বলেন, সেসময় ধাতুর তৈরি একটি ঘট পাওয়া গিয়েছিল। সেটি ভাঙতেই বেরিয়ে আসে সোনা ও রুপোর জিনিস। সেগুলির অধিকাংশই ওই দুই শ্রমিক নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। তিনি আরও দাবি করেন, তিনি একটি রুপোর চুড়িও পেয়েছিলেন।