Rajganj: ‘ক্ষিপ্ত’ বস্তিবাসীর সঙ্গে বনদপ্তরের সংঘর্ষ, আহত ৪

রাজগঞ্জ: হোলির আগের রাতে জঙ্গলে বস্তিবাসীর সঙ্গে হাতাহাতি, সংঘর্ষ বনদপ্তরের। এই ঘটনায় ৩ বস্তিবাসি সহ ১ বনকর্মী আহত। বন আধিকারিকের বিরুদ্ধে পুজো বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ স্থানীয় গ্রামবাসীদের। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রাজগঞ্জ ব্লকের বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের সরস্বতিপুর চা বাগান এলাকায়।

স্থানীয় আদিবাসীদের অভিযোগ, রাতে হোলি উপলক্ষে বস্তির মধ্যেই আগুন জ্বালিয়ে আদিবাসী রীতি উদযাপন করছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই সময় বস্তিতে এসে তাদের পুজো বন্ধ করে দেয় বনদপ্তরের আধিকারিকেরা। গ্রামবাসীরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বনদপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে এইনিয়ে স্থানীয়দের হাতাহাতি, বচসা বেঁধে যায়। এদিন গভীর রাতে আবারও বনদপ্তরের কয়েকজন বস্তিতে এসে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এরপর গ্রামবাসীরা ঘটনার প্রতিবাদ জানালে বনদপ্তরের তরফে গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন এবং মিলনপল্লী থানার পুলিশ।

বনদপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, জঙ্গলের আশে পাশে আগুন জ্বালাতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। এতে তাদের একজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অবশ্য এই ঘটনায় বস্তিবাসীর একজন সেখানেই ভর্তি রয়েছে বলে খবর। এই ব্যাপারে মিলনপল্লী থানার তরফে জানা গিয়েছে, দুই তরফেই তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

স্থানীয় আদিবাসীদের একাংশের অভিযোগ, রাতে মহিলা এবং বাচ্চাদের ওপর অত্যাচার করেছে বনকর্মীরা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বনদপ্তর। বিগত ক’দিনে জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনার পরই সতর্কতা মুলক ব্যবস্থা নিয়েছে বনদপ্তর। জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় আগুন জ্বালাতে নিষেধ করা হয়েছে। এই নিয়ে বচসা বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় বস্তিবাসীর কয়েকজনের মুখে সঞ্জয় রেঞ্জারের নামও শোনা যায়। তবে সঞ্জয় দত্ত সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওটা আমার এলাকা নয়, আমি সেখানে যায়নি।’ পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের তরফে বস্তি এলাকায় শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

About The Author