বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ইংল্যান্ডের। কাতার বিশ্বকাপের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিতে উঠে পড়ল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ফ্রান্সের হয়ে গোল দু’টি করেছেন চৌমেনি এবং জিরু। ইংল্যান্ডের হয়ে একটি গোল পেনাল্টি থেকে হ্যারি কেনের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি মিস করে ভিলেন হয়ে থাকলেন ব্রিটিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে একটি পেনাল্টি মিস করে দলের সেমিফাইনালে ওঠার আশা শেষ করে দিলেন হ্যারি কেইন। এদিন শুরুতে ম্যাচের ১২ নিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় ফ্রান্স। ডেম্বেলের ক্রসে জিরুডের হেড সোজা চলে যায় ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডের হাতে৷ যদিও ঠিক ৪ মিনিট পরেই ১৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন টিচুয়ামেনি। গ্রিজম্যানের থেকে বল পেয়ে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন। এরপরই গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ব্রিটিশরা। ২৩ মিনিটে হ্যারি কেইনের শট রুখে দেন লরিস।
৩০ মিনিটে আবার হ্যারি কেইনের আক্রমণ আটকান লরিস। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে প্রথমবার গোলের সুযোগ পান এমবাপে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। বিরতির আগে পর্যন্ত ফ্রান্স এগিয়ে থাকলেও ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে ফ্রান্সের চেয়ে এগিয়ে থাকে ইংল্যান্ড। বিরতি থেকে ফিরেই চমক দেখায় ইংল্যান্ড। পেনাল্টি কিক থেকে স্কোর সমান করে ফেলেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। ৭৮ মিনিটে গ্রিজমানের পাস থেকে অসাধারণ এক হেডে ফের ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন অলিভার জিরুদ।
ফ্রান্স ২-১ গোলে এগিয়ে গেলেও ৮৫ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুযোগ আসে ইংল্যান্ডের। ফের পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। তবে এবার আর গোল করতে পারেননি হ্যারি কেন। এরপর বাড়তি সময়ের শেষ মুহূর্তে ফ্রি কিক থেকে অল্পের জন্য গোল করতে ব্যর্থ হন রাশফোর্ড। ফলে ২-১ গোলের জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে ফ্রান্স। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রান্স।