রাজগঞ্জ: যে পুকুরটির নামে ‘ফাটাপুকুর’ নাম, সেই ঐতিহ্যবাহী দীঘির বেশিরভাগটাই এখন কচুরিপানায় ঢেকে গিয়েছে। বাইরে থেকে দেখে মনে হবে কোনও ডাম্পিং গ্রাউন্ড বা নোংরা ফেলার জায়গা। জলপাইগুড়ির রাজবাড়ি দীঘির মত এই পুকুরটির সৌন্দর্যায়নের কথা ছিল। তবে এখনও কোনও কাজ শুরু হয়নি।
যেখানে দীঘি পাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত পুকুরটির সৌন্দর্য দর্শক টানত। তবে গত কয়েক বছরে দীঘির চারপাশ নোংরা আবর্জনায় ভরে গেছে। আশেপাশের দোকান থেকেও নোংরা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। কচুরিপানা আগাছায় ঢেকেছে দীঘির সৌন্দর্য। দেখার কেউ নেই!
ফাটাপুকুর দীঘিটি অনেক পুরনো। আগে বিয়ে, উৎসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে গোটা গ্রামের মানুষ হাজির হত এই পুকুরপাড়ে। পুকুরের চারপাশে ছট পুজোর সময় অসংখ্য ছটঘাট তৈরি হতো। তা দেখতে দলবেঁধে মানুষ আসত। তবে বর্তমানে ফাটাপুকুরের পাশ দিয়ে গেলে নোংরা আবর্জনার গন্ধে নাক ঢাকতে হয়।
পুকুরের চারদিকের রাস্তাগুলি বহু বছর ধরেই বেহাল। যেতে আসতে সমস্যা ভোগ করতে হয় গ্রামবাসীদের।ফাটাপুকুরে প্রতিবছরই শীতের শুরুতে পরিযায়ী পাখিরা রিতি মেনে হাজির হত। পুকুরের রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় পাখিগুলিরও সমস্যা।
এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবাশিস দে বলেন, সরকারের অবহেলায় ফাটাপুকুরের এই হাল। পুকুরের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। সরকার তবু নির্বিকার। এই বিষয়ে রাজগঞ্জ ব্লকের বর্তমান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপালি দে বলেন, সেখানে খুব শীঘ্রই মাছ ছাড়ার ব্যবস্থা করা হবে ব্লকের তরফ থেকে।