গাইঘাটা: টানা এক বছর ধরে পুলিশের পোশাক পরে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন যুবক। সমাজমাধ্যমে নিত্য নতুন ছবি দিচ্ছিলেন উর্দি পরে।
বাড়ির লোকেরা জানতেন, ‘ছেলে পুলিশে চাকরি করে।’ পাড়া-প্রতিবেশীদেরও বিশ্বাস ছিল, তিনি সত্যিই কনস্টেবল পদে চাকরি করছেন।
এদিকে, বাস্তবে সেটা ছিল সম্পূর্ণ ‘মিথ্যে’। দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন তিনি।
ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার। ধৃতের নাম অঙ্কিত ঘোষ। বাড়ি শিমুলপুর চৌরঙ্গী এলাকায়।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, অঙ্কিত কনস্টেবলের মতো কয়েকটি পোশাক তৈরি করিয়ে তা পরে এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন।
বাড়ির লোক এবং প্রতিবেশীদের জানাতেন, তাঁর পোস্টিং সল্টলেকের বিকাশ ভবনে। প্রতিদিন সকালে নির্দিষ্ট সময়ে উর্দি পরে ‘ডিউটি’-র কথা বলে বেরিয়ে পড়তেন।
বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ অঙ্কিতের উপর নজর রাখতে শুরু করে।
মঙ্গলবার, যখন তিনি আবার পুলিশের পোশাকে বাইরে ঘুরছিলেন, তখন তাঁকে আটকানো হয়।
প্রথমে নিজেকে কনস্টেবল হিসেবে দাবি করলেও কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হলে গলার স্বর নিচু হয়ে যায় তাঁর। জেরা চালাতে থাকলে সব মেনে নেন এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক পুলিশি উর্দি, নকল নেমপ্লেট এবং জাল পরিচয়পত্র। জানা যাচ্ছে, অঙ্কিত এক সময় পুলিশের চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন, কিন্তু পাশ করেননি।
তবুও পরিবারের কাছে বলেছিলেন, চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। সেই দাবি টিকিয়ে রাখতেই তৈরি করেছিলেন এই পুরো ভুয়ো পরিচয়ের কাহিনি।
পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, “আমরা তো জানতাম ও বিকাশ ভবনে কাজ করে। সত্যিটা জানতে পেরে হতবাক আমরা। পুরোটা আমাদের অজানা ছিল!”