‘চিন ব্রহ্মপুত্রের জল আটকালেও ক্ষতি নেই ভারতের!’, যুক্তি দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ চিন যদি ব্রহ্মপুত্রের জল বন্ধ করে? উত্তরে অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, চিন্তা নেই, ব্রহ্মপুত্র ভারতের জলেই পুষ্ট। ৬০-৭০%ই তো ভারত থেকেই যায়। চিনের ৩০% না এলেও ক্ষতি নেই।

জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত সিন্ধু নদীর জল বন্ধ করার পরে প্রবল জলসঙ্কট তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশে৷ এই পরিস্থিতিতে এবার চিনের ভরসায় নতুন অপপ্রচারে নেমেছে পাকিস্তান। তাদের অভিমত, ভারত যেভাবে পাকিস্তানে সিন্ধু নদীর প্রবাহ বন্ধ করেছে, ঠিক একই ভাবে চিনও ব্রহ্মপুত্র নদের জল বন্ধ করে ভারতকে বিপাকে ফেলতে পারে৷

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে দাবি, ‘ভারত যদি পাকিস্তানে জল আসা বন্ধ করতে পারে, তাহলে চিনও একই জিনিস ভারতের সঙ্গে করতে পারে৷’

সম্প্রতি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, “যদি চীন ব্রহ্মপুত্রের জল ভারতকে দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে ভারতের কী হবে?” এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই আশঙ্কা ভিত্তিহীন ও কৃত্রিম ভয়ের প্রচারণা। চীনের অবদান সীমিত, ভারতের ভৌগোলিক শক্তিই মূল

হিমন্ত শর্মা জানান, চীন ব্রহ্মপুত্র নদীর মোট প্রবাহের মাত্র ৩০–৩৫ শতাংশ জল সরবরাহ করে। বাকি ৬৫–৭০ শতাংশ জল উৎপন্ন হয় ভারতের অভ্যন্তরে — বিশেষ করে অরুণাচল প্রদেশ, অসম, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ের প্রবল বর্ষা এবং বিভিন্ন উপনদী থেকে।

তিনি আরও বলেন, তুটিং সীমান্তে নদীর প্রবাহ যেখানে ২,০০০–৩,০০০ ঘনমিটার/সেকেন্ড, সেখানে অসমের সমতলে, বিশেষত বর্ষাকালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫,০০০–২০,০০০ ঘনমিটার/সেকেন্ডে। ফলে ব্রহ্মপুত্র মূলত ভারতে প্রবাহবর্ধিত হয় — চীনের উপর নির্ভর করে না।

বন্যা প্রশমনে সহায়ক হতে পারে চীনের জল আটকে রাখামুখ্যমন্ত্রীর মতে, চীন যদি জল কিছুটা আটকে রাখেও, সেটি অসমের জন্য উপকারীও হতে পারে। কারণ প্রতি বছর অসমে ভয়াবহ বন্যা লক্ষাধিক মানুষের ঘরবাড়ি ও জীবিকা ধ্বংস করে। বর্ষার অতিরিক্ত জল প্রবাহ কমলে বন্যার প্রভাবও হ্রাস পাবে।পাকিস্তানের আতঙ্ক অমূলক: মুখ্যমন্ত্রী

পাকিস্তান যে ইন্দাস জলচুক্তি থেকে দীর্ঘদিন ধরে একতরফা সুবিধা পেয়ে এসেছে, সেই প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, “ভারত যখন তার জলসম্পদে সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা করছে, তখন পাকিস্তানের এই আশঙ্কা আসলে নতুন বিভ্রান্তির কৌশল মাত্র।”

About The Author