Jalpaiguri: নেতাদের দ্বন্দ্বে ঘর পাননি! মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ বৃদ্ধের

জলপাইগুড়ি: আমার ঘরটা কেটে নিল কৃষ্ণ ও খগেশ্বর! মমতাকে হাতের সামনে পেয়ে তৃণমূল নেতাদের নামে নালিশ বৃদ্ধের।

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ির সভার পথে যাওয়ার সময় মাঝপথে তাঁর সামনে চলে আসেন বৃদ্ধ। প্রথমে তার একটি সমস্যা সমাধান হয়েছে বলে জানান, সেই শুনে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী বৃদ্ধের হাতে ফুল তুলে দেন। এরপর নিজের ঘর নিয়ে সমস্যার কথা জানান বৃদ্ধ।

জানা গেল, ওই বৃদ্ধ রাজেন রায়, পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা, কিন্তু রাজনৈতিক পরিচয়ে তিনি একজন আদি তৃণমূলকর্মী। পাহাড়পুরের ৭৯ বছরের রাজেন রায় দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত থেকেও আবাস যোজনার ঘর পাননি, বলে অভিযোগ।

রাজেন রায়ের অভিযোগ, স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা—খগেশ্বর রায় ও কৃষ্ণ দাসের পারস্পরিক দ্বন্দ্বের জেরেই তিনি সরকারি আবাসন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এলাকার বিধায়ক এবং তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঘরের তালিকা থেকে নাম কাটার অভিযোগ করেন। বৃদ্ধকে নাকি আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক খগেশ্বর রায় জানান, তিনি রাজেন রায়কে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না এবং ঘর সংক্রান্ত বিষয় তাঁর এক্তিয়ারে পড়ে না। অভিযোগ জানালে অবশ্যই দেখবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

অন্যদিকে, কৃষ্ণ দাস বলেন, আবাস যোজনার ঘর বিডিও অফিস থেকে বরাদ্দ হয়, তাঁদের কোনও হাত থাকে না। যদিও খগেশ্বর রায়ের সঙ্গে মতবিরোধ রয়েছে, তবু এই বিষয়ে কাউকে দায়ী করতে চান না। তাঁর দাবি, রাজেন রায় মুখ্যমন্ত্রী এলেই বারবার বিরক্ত করেন, আগেও দু’বার কনভয় থামিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন তিনি পানীয় জলের সমস্যার চিঠি তুলে দিয়েছিলেন মমতার হাতে। ২০২০ সালেও জল নিকাশি সমস্যার স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। এবার তৃতীয়বার, মুখ্যমন্ত্রীর সামনে সরাসরি নিজের আবাসন বঞ্চনার কথা বললেন।

About The Author