দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু ও বহুজন আহত হওয়ার ঘটনার তদন্তে নতুন মোড়। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)-র পাশাপাশি এবার সক্রিয় হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মঙ্গলবার রাতে ইডি গ্রেফতার করেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে অবস্থিত আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকিকে।
ইডি সূত্রে দাবি, বেআইনি আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে এবং সন্ত্রাসবাদীদের তহবিল জোগানের অভিযোগ রয়েছে সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। তদন্তে উঠে এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি ন্যাক স্বীকৃতি ছাড়াই একাধিক প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছিল এবং ওয়েবসাইটে মিথ্যা দাবি করছিল। দিল্লি পুলিশের এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি তদন্ত শুরু করে।
এর আগে বিস্ফোরণ মামলায় একাধিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যাঁদের সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে। বিস্ফোরণের ‘মানববোমা’ উমর-উন-নবিও সেই তালিকায় ছিলেন। তদন্তকারীদের মতে, আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ই ছিল এই ‘হোয়াইট কলার টেরর মডিউল’-এর কেন্দ্রস্থল। সিদ্দিকির গ্রেফতারি দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় আর্থিক যোগসূত্রের দিকটি স্পষ্ট করছে। এখন নজর ইডি ও এনআইএ-র যৌথ তদন্তে, যা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট নেটওয়ার্কের আর্থিক উৎস খতিয়ে দেখবে।

