মূল অভিযুক্ত শফিক শেখকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁরই বোন রোজিনা শেখ। রোজিনা জানান, ‘আমি চাইনি আমাদের পরিবার এই লজ্জার ভাগীদার হোক। ভাই যা করেছে, তার জন্য আইন অনুযায়ী শাস্তি পাওয়া উচিত।’
দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ওড়িশার তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়! মূল অভিযুক্ত শফিক শেখকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁরই বোন রোজিনা শেখ।
রোজিনা জানান, “আমি চাইনি আমাদের পরিবার এই লজ্জার ভাগীদার হোক। ভাই যা করেছে, তার জন্য আইন অনুযায়ী শাস্তি পাওয়া উচিত।” সোমবার দুর্গাপুরের আণ্ডাল ব্রিজের নিচে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে পুলিশকে সহায়তা করেন তিনি।
মঙ্গলবার পুলিশ অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় অপরাধ পুনর্গঠনের জন্য। জানা গেছে, নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে যৌনাঙ্গে ক্ষত ও রক্তপাতের উল্লেখ রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, ধর্ষণের জেরেই এই চিহ্ন।
ধৃতদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে, যা মামলার প্রমাণ জোরদার করতে পারে। ইতিমধ্যে মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন কলেজের প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী।
এই ঘটনায় সাহসী বোনের ভূমিকা যেমন প্রশংসিত হচ্ছে, তেমনই প্রশ্ন উঠছে—কীভাবে এত বড় অপরাধ সংঘটিত হল কলেজ চত্বরে?