সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার একটি ভিডিও বক্তব্য সামনে এসেছে, যাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওটিতে হিমন্ত বলছেন, “আমি হয়তো কাল মুখ্যমন্ত্রীর পদে না থাকি, কিন্তু সবাইকে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ থেকে আসা কোনও মুসলিম পরিবারকে আপনার প্রতিবেশী হিসেবে বসতে দেবেন না।” তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
BIG BREAKING 🚨
🚨In a bold and emotional appeal, CM Dr @himantabiswa said:
“I may not be CM tomorrow, but I urge all local organisations, indigenous people, and every vigilant citizen — don’t allow even one Bangladeshi Muslim family to settle in your neighbourhood. It starts… pic.twitter.com/K3ipVYsKsj— Oxomiya Jiyori 🇮🇳 (@SouleFacts) July 25, 2025
অসমের ধেমাজি জেলায় হাজার হাজার মানুষ ‘বাংলাদেশি হুঁশিয়ার’, ‘গো ব্যাক’ স্লোগানে রাস্তায় নেমেছেন। স্থানীয় সংগঠনগুলোর অভিযোগ, অবৈধ অভিবাসীদের দ্বারা বনজমি দখল ও জনসংখ্যাগত ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটছে, যা অসমের ‘স্থানীয়ত্ব’ রক্ষা করতে হুমকি হয়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য আসে ঠিক সেই সময়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন বক্তৃতা সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে পারে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় ও বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এ ধরনের বক্তব্যকে “বিদ্বেষমূলক” এবং “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী” বলেই অভিহিত করেছে।
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের ১৪ ও ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতি, ধর্ম বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে বৈষম্য নিষিদ্ধ। ফলে এই ধরণের প্রকাশ্য রাজনৈতিক আহ্বান আইনি জটিলতা তৈরি করতে পারে। ইতিমধ্যেই কিছু নাগরিক সংগঠন হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বক্তব্যকে আইনি চ্যালেঞ্জ জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে সূত্রে খবর।
এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়াতেও ভিন্নতা চোখে পড়ছে। বিজেপির কিছু অংশ এই বক্তব্যকে ‘বাস্তবধর্মী সতর্কবার্তা’ বলে সমর্থন করলেও, কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ নেতারা এটিকে স্পষ্টভাবে “ভেদাভেদের রাজনীতি” বলে আক্রমণ করেছেন।